E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘শকুনের অভাবে অ্যানথ্রাক্স জলাতঙ্ক যক্ষা’

২০১৪ জুন ২৩ ২০:২১:৩৯
‘শকুনের অভাবে অ্যানথ্রাক্স জলাতঙ্ক যক্ষা’

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে শকুন কমে যাওয়ায় অ্যানথ্রাক্স, জলাতঙ্ক, যক্ষ্মা, খুরা রোগসহ বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগে আক্রান্তের হার বাড়ছে। মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে দেশের মানুষ।

সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আইইউসিএন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর আসন্ন শকুন বিলুপ্তির প্রভাব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তরা এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এম.এ. মান্নান বলেন, শকুন কোনো জীবিত প্রাণী খায় না। এরা পরিবেশেরও ক্ষতি করে না। বরং বিভিন্ন মরা প্রাণীর মৃতদেহ খেয়ে নানা রকম মারাত্মক রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করে। তাই এই পাখি রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্তি অর্থ সচিব জামাল আহমেদ বলেন, পরিবেশ ও বন বিভাগ যদি শকুন রক্ষায় কোনো প্রকল্প গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ সহায়তা করবে।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, শকুনের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোতে অ্যানথ্রাক্স ও জলাতঙ্ক রোগ বেড়েছে। শকুন কমে যাওয়ায় এখন বাংলাদেশেও জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। দেশে পশু সংক্রমিত রোগের প্রভাব বাড়ছে।

তারা জানান, স্বাধীনতার আগে দেশে প্রায় ৫০ হাজার শকুন ছিল। এখন আছে মাত্র এক হাজার। দেশে ৭ প্রজাতির শকুন থাকলেও রাজ ও সরুছুঁটি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে। বাংলা শকুনও বিলুপ্তির পথে।

বক্তারা বলেন, পশু চিকিৎসায় ‘ডাইক্লোফেনাফ’ ও ‘কিটোপ্রোফেন’ ব্যবহার হচ্ছে। এসব বিষাক্ত ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে এমন গরু-ছাগলের মৃতদেহ খেলে শকুনের কিডনি নষ্ট হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শকুনের মৃত্যুও হয়। মাত্র ৩০ মিলিলিটার ওষুধ দিয়ে ৫০০ শকুন মারা সম্ভব।

তারা বলেন, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে পশু চিকিৎসায় ‘ডাইক্লোফেনাক’ নিষিদ্ধ। কিন্তু ‘কিটোপ্রোফেন’ এখনও নিষিদ্ধ করা হয়নি। এটিও নিষিদ্ধ করা জরুরি। এর বিষাক্ততার কারণে ২০০৬ সালে পাকিস্তানে এবং ২০০৯ সালে নেপালে ডাইক্লোফেনের পরিবর্তে মেলোক্সিক্যামসহ অন্যান্য বিকল্প ওষুধ ব্যবহার শুরু হয়।

আইইউসিএন এর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ইশতিয়াক উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, ক্রিস বাউডেন, ইনাম আল হক, ড. মনিরুল খান, ড. তপন দে প্রমুখ।

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test