E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

একমাত্র সন্তানকে বাঁচানোর আকুতি দরিদ্র মা-বাবার  

২০২০ ফেব্রুয়ারি ১৪ ১৬:৪৭:৩৮
একমাত্র সন্তানকে বাঁচানোর আকুতি দরিদ্র মা-বাবার  

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : দুই বছরের সংসার জীবনে আশার আলোর প্রদীপ জ্বালিয়ে অভাব অনটনের সংসার আলো করে জন্ম নেয় ফুটফুটে কন্যা সন্তান। ভাঙ্গা ঘরে চাঁদের আলো হয়ে জন্ম নেয়া শিশুটির আদর করে নাম দেয়া হলো সুমাইয়া। 

নিলে পরিবারে অনাবিল সুখে ভড়ে ওঠে তাদের পরিবার। শিশুটির বাবা-মা, দাদা-দাদী, আত্মীয়-স্বজন সবাই ভালোবেসে দেখতে আসে সুমাইয়াকে। শিশুটি জন্ম নেবার পর সকলেই খুশিতে মেতে ওঠে। কিন্তু সেই হাসি আনন্দ ধীরে ধীরে কান্নায় রুপ নেয়।

পাবনার ফরিদপুর উপজেলার চিথুলিয়া গ্রামের দিনমজুর রুসনা সরকারের সাথে ২ বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার মানান গ্রামের লাবণী খাতুনের। বিয়ের ২ বছর পরে গত ৪ মাস আগে লাবণীর কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে শিশু সুমাইয়া। কিন্তু ২০দিন পর মুখে একটি লাল দাগ দেখতে পায় লাবণী। প্রথমে স্বাভাবিক মনে হলেও দিন যতই গড়ায় চিহিৃত স্থানের আকারও বাড়তে থাকে।

চিকিৎসকের নিকট গেলে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তারা এটাকে হ্যামান জিওমা রোগ সনাক্ত করেন। এটি অপসারন করতে হলে প্রায় ৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। চিকিৎসা ব্যায়ের কথা শুনে রুসনা-লাবণী দম্পত্তির মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে।

যেখানে ছোট্ট একটি ঘরে শিশু কন্যা সুমাইয়াকে নিয়ে বসবাস করে দিনমজুর রুসনা- লাবণী সেখানে ৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করা তাদের কাছে অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

গত ৪ মাসে সুমাইয়ার চিকিৎসার জন্য পাবনা সদর হাসপাতাল, নাটোরের বনপাড়া মিশন হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্য ঘুরে ঘুরে তাদের অনেক টাকা ঋণ হয়ে গেছে।

শিশুটির মা লাবণী খাতুন বলেন, স্বামীর দিনমজুরী করে যা পায় তাই দিয়েই সংসার চলে কোনভাবে। কিন্তু আমার একমাত্র সন্তানটি রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসা করতে ৫ লাখ টাকার প্রযোজন যা আমাদের অসম্ভব। টাকার অভাবে আমার শিশু সন্তানকে বাঁচাতে পারবো না?

কোন স্বহৃদয় ব্যক্তি আমাদের এই বিপদে এগিয়ে আসতেন তাহলে আমরা শিশুটিকে বাঁচাতে পারতাম। এ ব্যাপারে লাবণীর মোবাইল নাম্বার ০১৭৭১-৭৭১৬৮২ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test