E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

বাবা হারা শারীরিক প্রতিবন্ধীর একটি হুইল চেয়ারের আকুতি!

২০২১ মে ০২ ২৩:৪০:৫৭
বাবা হারা শারীরিক প্রতিবন্ধীর একটি হুইল চেয়ারের আকুতি!

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : পলাশবাড়ীতে শারীরিক প্রতিবন্ধী স্বপ্না খাতুন ও নান্দু সহোদর আপন দুই ভাই -বোন একটি চেয়ারের অভাবে চলাফেরা করতে পারছেনা।

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী হরিনাথপুর ইউনিয়নের হরিনাথপুর মধ্যেপাড়া গ্রামে রাস্তার পাশে দেখা মিলল শারীরিক প্রতিবন্ধী স্বপ্না এবং নান্দু সহোদর আপন দুই ভাই (১৮)বোন। জম্মের পর থেকেই কোমড়ের মেরুদণ্ডে কোন প্রকার শক্তি না থাকায় তারা স্বাভাবিকভাবে চলতে ফিরতে পারে না।

সবসময় হাত ও পা মোরানো থাকে৷ তাদের। তারা হাত-পা মোরানো অবস্থায় মাটি ঘেঁষে চলাচল করছে রাস্তায়।

একটি হুইল চেয়ারের অভাবে ১৬ বছর ধরে মানবতার জীবন যাপন করছে তারা। স্বপ্না ও নান্দুর পরিবারের আকুতি, তাদের হুইল চেয়ারের প্রয়োজন।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়,উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের হরিনাথপুর মধ্যে পাড়া গ্রামের মৃত্যু হেলাল উদ্দিন ছেলে ও মেয়ে । জন্ম থেকেই স্বপ্না ও নান্দু,জনই শারীরিক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। হাত ও পা দিয়ে কোনও ভাবেই হাটা চলা করতে পারে না। হাত ও পায়ের অধিকাংশই বাঁকা। হুইল চেয়ার না থাকায় হাতের উপর ভর করে মাটি ঘেঁষে চলাচল করে সে।

চলাচল করতে খুব কষ্ট হয় স্বপ্না ও নান্দুর। ছবি তোলার সময় শুধু ক্যামরার দিকে তাকিয়ে ছিল সে। ১৬ বছরেও একটি হুইল চেয়ার জোটেনি তার কপালে। হুইল চেয়ার হলে কিছুটা স্বাভাবিক চলাচল করতে পারবে। প্রতিবেশী আমিনুল ইসলাম রেজাউল বলেন,স্বপ্না ও নান্দু দু,জনই একজন দিন-মজুর পরিবারের সন্তান। তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আরোও অসহায় হয়ে পরেছে পরিবারটি। ওদের দিকে তাকালে খুব কষ্ট লাগে। কত কষ্ট করে মাটি ঘেষে চলাচল করে স্বপ্না ও নান্দু। তাদের দুটি হুইল চেয়ার খুব প্রয়োজন।

স্বপ্না ও নান্দুর মা বলেন, বাড়ি-ভিটা ছাড়া কোনো জমিজমা নাই আমাদের। সংসারে ৫ জন ছেলে মেয়ে তার মধ্যে দু'জন ছেলে মেয়ে প্রতিবন্ধী।

সংসারে আয়ের একমাত্র মানুষটিকে হারিয়ে অতি কষ্টে দিন যাপন করছি। স্বপ্নার মা অন্যের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে যা পায় তাই দিয়ে কোন ভাবে সংসার চলে।

(এস/এসপি/মে ০২, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test