E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রতিবন্ধী কাওসারকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতি

২০২১ আগস্ট ০৪ ১৩:৫৭:৩৬
প্রতিবন্ধী কাওসারকে বাঁচাতে মা-বাবার আকুতি

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর গলাচিপায় শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী (তীব্র) সন্তানকে বাঁচাতে দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে এক দম্পতি অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আর্থিক অভাবের কারণে আর পেরে উঠছেন না মা-বাবা। সহায়-সম্পদ যা কিছু ছিল তা এরই মধ্যে সন্তানের চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে বিক্রি করে দিয়েছেন তারা। এখন হৃদয়বান মানুষের আর্থিক সহায়তা ছাড়া অসুস্থ ছেলেকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয় তাদের পক্ষে। বাধ্য হয়ে প্রতিবন্ধী সন্তানকে বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা, জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন বাবা মো. শাহাবুদ্দিন হাওলাদার। 

মা-বাবা জানিয়েছেন, অসুস্থ ছেলে মো. কাওসার হাওলাদার (২৬) কে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শ্যামলী মানসিক হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসকদের অধীনে দীর্ঘ দিন ধরে চিকিৎসা করাচ্ছেন। কখনো বাড়িতে আবার কখনো হাসপাতালে রেখে ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে প্রায় ১৮টি বছর অবিরাম চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু আর্থিক সঙ্কটে এখন ছেলের চিকিৎসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। মো. শাহাবুদ্দিন হাওলাদার ও হাওয়া বেগম দম্পতির শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলেটি ঠিকমত কথা বলতে পারে না, হাঁটতে পারে না।

এমনকি দু’হাত দিয়ে খাবার খেতেও পারে না। পুরো শরীর অচল ও বিকলাঙ্গ। সারাক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকেন। স্বাভাবিক কোনো খাবার খেতে পারে না। অপুষ্টির কারণে তার শারীরিক বৃদ্ধি থেমে গেছে। তবে তার চাহনীর মধ্যে যেন বেঁচে থাকার আকুতি। বাবা শাহাবুদ্দিন হাওলাদার বলেন, জন্মের পর ছেলেটি কিছু দিন সুস্থ ছিল কিন্তু ৫/৬ বছর পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পরে। অসুস্থ বলে সন্তানকে তো মা-বাবা ফেলে দিতে পারে না। তাই ওকে সুস্থ করে তুলতে চেষ্টা শুরু করি। গত ১৮/১৯ বছরে সব শেষ করেছি সন্তানকে সুস্থ করতে। কিন্তু লাভ হয়নি। এখন চিকিৎসা চালিয়ে নেয়ার মতো আর কোনো স্বামর্থ্য নেই আমাদের। তবে শুনেছি বঙ্গবন্ধু কন্যা, মানব দরদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অসহায় বান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদেরকে একটু দয়া করেন তাহলে হয়তো ছেলেটিকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবো।

তিনি আবেগ জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছেলেটি বিনা চিকিৎসায় মারা গেলে মা-বাবা হিসেবে আমাদের নিজেদেরকে অপরাধী মনে হবে। তাই বিত্তবানদের কাছে অনুরোধ, আপনারা একটু আমাদের পাশে দাঁড়ান।’ ছেলেটির বাবা শাহাবুদ্দিন হাওলাদার একজন দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ। শাহাবুদ্দিন হাওলাদার ও হাওয়া বেগম দম্পতির বাড়ি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যাণ কলস গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত. সেকান্দার হাওলাদার বাড়ি (কল্যাণ কলস স্লুইস বাজারের পূর্ব পাশে)।

কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল চৌধুরী বলেন, আসলেই কাওসার একজন প্রতিবন্ধী মানুষ। ওকে নিয়ে ওর বাবা মা অনেক কষ্ট করে। ইউপি সদস্য উল্লাস খান বলেন, শাহাবুদ্দিন হাওলাদার তার প্রতিবন্ধী ছেলে কাওসার হাওলাদারকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। নেই কোন ঘর, নেই কোন জায়গা-জমি। ছেলের চিকিৎসা করাতে সবকিছু হারিয়েছে এই পরিবারটি। এ অবস্থায় এই দম্পতি হৃদয়বান মানুষের সাহায্য কামনা করেছেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা : মোবাইল নম্বর ০১৭৮০-২৩৭৭৬৮ (নগদ + বিকাশ)।

(এসডি/এসপি/আগস্ট ০৪, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test