E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

বাঁচতে চান গলাচিপার অনিল মিস্ত্রী

২০২২ ফেব্রুয়ারি ২৩ ১৬:১১:১২
বাঁচতে চান গলাচিপার অনিল মিস্ত্রী

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা : পটুয়াখালীর গলাচিপায় কঠিন রোগে আক্রান্ত অনিল মিস্ত্রী বাঁচতে চায়। অনিল মিস্ত্রী হচ্ছেন উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের কিরণ মিস্ত্রীর ছেলে। তিনি ফুলখালী আবাসন প্রকল্পে বসবাস করেন। জীবন যুদ্ধে লড়তে লড়তে আজ বড়ই ক্লান্ত। বছর ৭০ মত বয়স হবে। দরিদ্র পরিবারে জন্ম। দিনমজুর অনিল মিস্ত্রীর বাবা-মা মারা গেছেন অনেক আগেই। তার এক ছেলে অবিনাশ মিস্ত্রী (৩৫)। তার ছেলে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। অনিল মিস্ত্রী অন্যের সাথে ঘর তৈরির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার গলায় একটি টিউমার হয়েছে। দিন-কে দিন বড় হতে থাকে। দারিদ্রতার কারণে ঠিকমত চিকিৎসা নিতে পারেনি। সময়মত চিকিৎসা না করালে সেটা মরণব্যাধি ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে। সে টিউমারের অসহ্য যন্ত্রণায় সারা দিন ছটফট করে। ঘুম নেই দু’চোখে। সে বাঁচতে চায়। 

সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে তার করুন আর্জি, “আমি বাঁচতে চাই”। আমাকে মানবিক সাহায্য করুন কথাগুলো এভাবেই বলছিলেন অনিল মিস্ত্রী। বর্তমানে তার গলায় টিউমার টির ভিতর অসহ্য জ্বালা যন্ত্রণা বেড়ে গেলে অনেক কষ্টে কিছু টাকা যোগাড় করে গলাচিপা, পটুয়াখালী, বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালের একজন নাক কান গলার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখালে তিনি জানান, যত দ্রুত সম্ভব টিউমারটি অপারেশন করাতে হবে। অপারেশনের পর পরীক্ষা করে বোঝা যাবে ক্যান্সারের জার্ম আছে কিনা। কিন্তু অপারেশন, চিকিৎসা খরচ, থাকা-খাওয়া ও যাতায়াত ভাড়া সহ প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার এর মত টাকা দরকার। যাহা গরিব অনিল মিস্ত্রীর পক্ষে টাকা যোগাড় করে আদৌ চিকিৎসা ব্যয় করা সম্ভবপর নয়। সেজন্য তিনি সমাজের সহৃদয়বান ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বৃত্তবানদের নিকট মানবিক সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। তিনি সাহায্য পাঠানোর জন্য তাঁর বিকাশ নম্বরটি ০১৭৯৬-৩৪৩৪৯৬ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ রায় ও ইউপি সদস্য সরোয়ার মিয়া জানান, অনিল মিস্ত্রী অসহায় সত্যিই দেখার কেউ নাই। তার ঘরে একটি প্রতিবন্ধী ছেলে আছে। সেও কোন কাজ করতে পারে না। অন্যের সাথে ঘর তৈরির কাজ করে কোন মতে সংসার চলে। তিনি সরকার ও সমাজের বৃত্তবানদেরকে অনিল মিস্ত্রীর পাশে সাহায্যের হাত বাড়াতে অনুরোধ করেছেন।

এ বিষয়ে অনিল মিস্ত্রী জানান, বর্তমানে আমার জ্বালা যন্ত্রণা বেড়ে গেছে, ঘুম নাই, খেতে পারি না, ব্যাথা করে, ঘুমাতে গেলে টান পড়ে, ঘুমাতে পারি না। অনিল মিস্ত্রীর প্রতিবন্ধী ছেলে অবিনাশ বলেন, আমি প্রতিবন্ধী মানুষ। কোন কাজ করতে পারি না। আমার মায়ের মৃত্যুর পরে বাবাই আমার মা-বাবা। আমার বাবা আজ অসুস্থ। বাবাকে ডাক্তার দেখাব কেমন করে। আমার বাবাকে বাঁচাতে সরকার, প্রশাসন সহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য ও সহযোগীতা কামনা করেছি।

(এসডি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test