E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শৈলকূপার মেধাবী ছাত্রী আফরিনা

২০২২ মার্চ ২৯ ১৭:৩৪:৪৮
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে শৈলকূপার মেধাবী ছাত্রী আফরিনা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে খেলোয়াড় হবে। মুখ উজ্জল করবে মা-বাবা, গ্রাম ও দেশের। ফুটবলকে ভালোবেসে তাই ছোটকাল থেকেই খেলার প্রতি আগ্রহ ছিলো তার। স্কুল থেকে কোন খেলার আয়োজন করলে তাতে অংশ নিতো সে। উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে দলের হয়ে খেলা করতো আফরিনা। সেই খেলায় যেন তার কাল হলো তার। ফুটবল খেলতে গিয়ে পায়ের আঘাত পায় আফরিনা। সেই আঘাত এখন পরিণত হয়ে মরণব্যাধী ক্যান্সারে। মেয়ের ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে সহায়-সম্বল বিক্রি করেও চিকিৎসা করতে পারছে না হতদরিদ্র পিতা আব্দুল আজিজ।

আফরিনার বাড়ী ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে। পিতা আব্দুল আজিজ জানান, ২০১৫ সালে বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণীতে অধ্যায়ণরত অবস্থায় বেণীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলতে তার মেয়ে। ক্যাপ্টেনের দ্বায়িত্ব থাকা অবস্থায় ফুটবল খেলতে গিয়ে বা পায়ে আঘাত পায় আফরিনা। সেসময় কিছু বুঝতে না পারলেও কয়েক বছর পর সেখানে শুরু হয় ব্যাথা। দিনে দিনে সেখানে ফুলতে শুরু করে। কয়েক বছরের মধ্যে ব্যাথাটা ফুলে এখন ক্যান্সারে রূপ নিয়েছে।

তিনি আরো জানান, তার মেয়ে বোয়ালিয়া স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেনীতে এ প্লাস পেয়ে পাশ করে। কোনদিন এক ছাড়া দুই রোল হয়নি তার। মেয়ের স্বপ্ন ছিল শিক্ষিত হবে। খেলোয়াড় হবে মুখ উজ্জল করবে। কিন্তু কি হয়ে গেল আমার মেয়ের। ব্যাথার জ্বালায় দিন রাত-কান্না কাটি করে। আমি কিছুই করতে পারছি না। যা টাকা পয়সা ছিল তা তো শেষ হয়ে গেছে। আমার মেয়েটাকে এখন চিকিৎসা করাতে ৩/৪ লাখ টাকা দরকার। এত টাকা আমি কোথায় পাব।

রাজধানীর মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আফরিনা খাতুন বলেন, আমার আর কষ্ট সহ্য হয়না ভাইয়া। আমাকে আপনার বাঁচান। আমি আর ব্যাথা সইতে পারছিনে। আমার আব্বা আমার জন্য সারারাত ধরে জেগে থাকে। আমার পা ডলে দেয়। এ কষ্ট আর সহ্য করতে পারছি না।

শৈলকূপা উপজেলার উত্তর মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোক্তাদির রুমী বলেন, মেয়েটির চিকিৎসার জন্য আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি। এলঅকা থেকে টাকা পয়সা তুলে মেয়েটিকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এখন কিছু রিপোর্ট এলে তার ভর্তির ব্যাপারে ডাক্তার পরামর্শ দিবেন। মেয়েটির বাবা খুবই অসহায়।

সমাজের বিত্তবানরা যদি একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তবে মেয়েটি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে। আফরিনাকে কেও সহযোগিতা করতে চাইলে (০১৩০৮-৩৪৬৫০১ (বিকাশ + নগদ) এই নম্বরে কথা বলতে পারেন।

(একে/এএস/মার্চ ২৯, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test