E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ইব্রাহিমের চিকিৎসায় প্রয়োজন ৭ লক্ষ টাকা

২০১৭ জুলাই ২২ ১৪:৪৪:৫৫
ইব্রাহিমের চিকিৎসায় প্রয়োজন ৭ লক্ষ টাকা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার দরিদ্র পরিবারের মেধাবী ছাত্র ইব্রাহিম (১০)। হার্টে ছিদ্র থাকায় চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের মাদ্রাজে নিয়ে চিকিৎসা করানোর। এর জন্য প্রয়োজন ৭ লাখ টাকা। দরিদ্র কাঠমিস্ত্রি বাবার সম্পদ বলতে ২০ শতক ভিটেবাড়ি ছাড়া আর কিছুই নেই। ছেলের চিকৎসার অর্থ জোগাতে তাই এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বাবা ফরিদুল ইসলাম।

ইব্রাহিমের বাবা ফরিদুল ইসলাম জানান, চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে ইব্রাহিম অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। ওষুধ খেয়ে সুস্থ না হলে ডাক্তারের পরামর্শে ঢাকার ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারে ডা. মনজুর মাহমুদকে দেখানোর তিনদিন পর ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালের ব্রিগে. জেনারেল (প্রফেসর) নুরুন্নাহার ফাতেমাকে দেখান। সবশেষে লাইফএইড স্পেশালাইজড হসপিটাল লি. ডাক্তার মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমানকে দেখানো হয়।

ডাক্তাররা বলেছেন ইব্রাহিমের হার্টে ছিদ্র হয়েছে। ছেলের চিকিৎসা করাতে ভারতের মাদ্রাজে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। এজন্য প্রয়োজন প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা। বাড়িভিটে বলতে ২০ শতক জমি ছাড়া আমাদের আর কিছুই নেই। ইব্রাহিম বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়। ছেলের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য বাড়িভিটেটুকু বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু সঠিক মূল্য না পাওয়ায় তাও বিক্রি হচ্ছে না।

টানা কয়েক মাস যাবৎ বাড়ি-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অফিসে ঘুরেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৮ হাজার টাকা তুলতে পেরেছি। বাবা হিসেবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। জানিনা ছেলেকে বাঁচাতে পারব কিনা।

এ বিষয়ে সাকোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছা. বিলকিছ বেগম বলেন, ইব্রাহিম আমাদের বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির একজন মেধাবি ছাত্র। অসুস্থ ইব্রাহিমের চিকিৎসার জন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ অনেককেই সহযোগিতার হাত বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।

চাকিরপশার ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী হোসেন বাপ্পি জানান, কাঠমিস্ত্রি ফরিদুল ইসলামের বাড়ি চক নাককাটি গ্রামে। তিনি শিশু ইব্রাহিমকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন।

ইব্রাহিমের বাবা একজন কাঠমিস্ত্রি। অভাবের সংসারে তিন সন্তান এবং বৃদ্ধ মাসহ ৬ জন সদস্য রয়েছে। তিন ছেলের মধ্যে ইব্রাহিম সবার ছোট। সে সাকোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। বড় ছেলে সাকোয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আগমী বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে এবং মেজ ছেলে একই বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়ে।

তারাও নিজের পড়াশুনার ফাঁকে-ফাঁকে বিভিন্ন জায়গায় দিনমজুরের কাজ করে সংসারে ও পড়াশুনার খরচ চালায়।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test