E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার

২০১৫ এপ্রিল ১০ ২১:৫৭:১৫
কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার

স্টাফ রিপোর্টার : জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যক্রম কেন্দ্র করে কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২০মিনিটে সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী ফের কারাগারে ঢোকেন। এর পরপরই জোরদার করা হয় নিরাপত্তা। পুলিশের পাশাপাশি জেল গেটে অবস্থান নেয় র‌্যাব এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ।

পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একটি ভ্যানে করে কারাগারে বাঁশ নিয়ে যাওয়া হয়।

কারাগার সূত্র জান‍ায়, ফাঁসির মঞ্চের শামিয়ানা টাঙানোর কাজে বাঁশগুলো ব্যবহার করা হবে।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মফিজউদ্দিন আহমদ জানান, ফাঁসি কার্যকরের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি। তবে কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ফোর্স পাঠানো হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার সকাল দশটার কিছুক্ষণ আগে কামারুজ্জামানের প্রাণভিক্ষার বিষয় জানতে নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর মোহাম্মদ আজিম ও মাহবুব জামিল।

দেড়ঘণ্টারও বেশি সময় অবস্থান করে বেলা সাড়ে এগারোটার পর কারাগার থেকে তারা বেরিয়ে আসেন। তবে সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি তারা।

বৃহস্পতিবার সকালে কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে বের হয়ে আসার পর তাঁর আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের জানান, ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন কামারুজ্জামান। তার সিদ্ধান্তের কথা কারা কর্তৃপক্ষকে জানাবেন তিনি।

অন্যদিকে দুপুরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেখা করে প্রাণভিক্ষার ব্যাপারে জানতে চাইবেন কামারুজ্জামানের কাছে। এর অংশ হিসেবেই শুক্রবার সকালে দুই ম্যাজিস্ট্রেট কারাগারে যান বলে জানা গেছে কারাসূত্রে।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ আদেশের কপি কারাগারে পৌঁছায়। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে রায় পড়ে শোনান। এ সময় তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কি না তা জানতে চাওয়া হয়।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় শেরপুর জেলার সোহাগপুর গ্রামে ১৪৪ জনকে হত্যা ও নারী নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল-২।

এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হলে কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে গত ৫ মার্চ তা পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন কামারুজ্জামান। ৬ এপ্রিল এ আবেদনও খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ১০, ২০১৫)

কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার
স্টাফ রিপোর্টার : জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যক্রম কেন্দ্র করে কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২০মিনিটে সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী ফের কারাগারে ঢোকেন। এর পরপরই জোরদার করা হয় নিরাপত্তা। পুলিশের পাশাপাশি জেল গেটে অবস্থান নেয় র‌্যাব এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ।

পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একটি ভ্যানে করে কারাগারে বাঁশ নিয়ে যাওয়া হয়।

কারাগার সূত্র জান‍ায়, ফাঁসির মঞ্চের শামিয়ানা টাঙানোর কাজে বাঁশগুলো ব্যবহার করা হবে।

এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মফিজউদ্দিন আহমদ জানান, ফাঁসি কার্যকরের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হয়নি। তবে কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ফোর্স পাঠানো হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার সকাল দশটার কিছুক্ষণ আগে কামারুজ্জামানের প্রাণভিক্ষার বিষয় জানতে নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর মোহাম্মদ আজিম ও মাহবুব জামিল।

দেড়ঘণ্টারও বেশি সময় অবস্থান করে বেলা সাড়ে এগারোটার পর কারাগার থেকে তারা বেরিয়ে আসেন। তবে সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো কথা বলেননি তারা।

বৃহস্পতিবার সকালে কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে বের হয়ে আসার পর তাঁর আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের জানান, ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন কামারুজ্জামান। তার সিদ্ধান্তের কথা কারা কর্তৃপক্ষকে জানাবেন তিনি।

অন্যদিকে দুপুরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেখা করে প্রাণভিক্ষার ব্যাপারে জানতে চাইবেন কামারুজ্জামানের কাছে। এর অংশ হিসেবেই শুক্রবার সকালে দুই ম্যাজিস্ট্রেট কারাগারে যান বলে জানা গেছে কারাসূত্রে।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ আদেশের কপি কারাগারে পৌঁছায়। কারা কর্তৃপক্ষ তাকে রায় পড়ে শোনান। এ সময় তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন কি না তা জানতে চাওয়া হয়।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় শেরপুর জেলার সোহাগপুর গ্রামে ১৪৪ জনকে হত্যা ও নারী নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল-২।

এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হলে কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে গত ৫ মার্চ তা পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন কামারুজ্জামান। ৬ এপ্রিল এ আবেদনও খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
(ওএস/এএস/এপ্রিল ১০, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test