E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দুই মাস অপেক্ষা করেও মেলে না !

২০১৪ নভেম্বর ১৭ ১৭:০৮:৪১
দুই মাস অপেক্ষা করেও মেলে না !

বগুড়া প্রতিনিধি : ব্যবসায়ী আল মামুন চিকিৎসার জন্য ভারতে যাবেন। পাসপোর্ট থাকলেও এখনো ভিসা হয়নি। ভিসা আবেদনের ই-টোকেন নেয়ার জন্য এক মাস ধরে ঘুরছেন এক কম্পিউটারের দোকানে। কিন্তু প্রত্যাশিত ই-টোকেন এর দেখা মেলেনি। শুধু ব্যবসায়ী মামুন নয় অনেকেই প্রয়োজনের সময় ভারতে যেতে পারছেন না সঠিক সময়ে ই-টোকেন না পেয়ে। ভারতীয় সরকার ঘোষণা করেছে তাদের সকল ভিসা প্রসেসিং অনলাইনে হবে।

ভারতীয় হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে ক্লিক করলে একটি ফরম পাওয়া যাবে। সেই ফরম পূরণ করলে একটি ই-টোকেনের মাধ্যমে সিরিয়াল নম্বর আর একটি তারিখ দেওয়া হবে। যে তারিখের কথা বলা হবে সেদিন পাসপোর্ট ও দরকারি কাগজপত্র নিয়ে রাজশাহীতে গিয়ে জমা দিলেই ভারতীয় ভিসা পাওয়া যাবে। কিন্তু সেই ই-টোকেন প্রাপ্তিই বগুড়ার ভিসা আবেদনকারিদের কাছে এখন আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মত। এক সময় অনেকেই বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টার নিয়ে বিরক্ত ছিলেন। বেড়ানো, শিক্ষা, ধর্মীয় স্থান দর্শন, ট্রানজিটের ভিসার জন্য দীর্ঘসময় লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে হত।

তারপরও আরো দেখতে হত ভিসা প্রসেসিং সেন্টারের কর্মচারিদের দৌরাত্ম। সেই সমস্যা দূর করার জন্য ই-টোকেন পদ্ধতি। কত দিনের ভিসা, কোন রুটে যাবেন আসবেন, ইন্ডিয়ান রেফারেন্স ও হোটেলের নাম ঠিকানা লিখে পূরণ করলে ই-টোকেন দেওয়া হবে। এতে করে আর রাত জেগে লাইনে বসে থাকার সমস্যা আর থাকবে না। কিন্তু এই ই-টোকেন বগুড়ার ভিসা আবেদনকারিদের কাছে গলার কাটা হয়ে দেখা দিয়েছে। অনেক সময়-শ্রম-সম্মান-তেলপানি খরচাসমেত ২ মাস অপেক্ষা করেও ই-টোকেন মিলছে না। বগুড়ার সপ্তপদি মার্কেটসহ কয়েকটি এলাকায় সক্রিয় একাধিক চক্র শুধুমাত্র ই-টোকেনের জন্য ১২০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন।

বৃন্দাবনপাড়ার রাজিব হাসান উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে বলেন, গত এক মাস আগে ই-টোকেনের জন্য সপ্তপদি মার্কেটের এক ব্যবসায়ীকে ১৫০০টাকা দিলেও এখনও পাইনি। ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার রাজশাহী ব্রাঞ্চের প্রধান আমিরুল ইসলাম জানান, ভিসা প্রাপ্তির সুবিধার জন্য ইন্ডিয়ান সরকার অনলাইনে আবেদনের ব্যবস্থা করেছে। এটি নিজেদেরকেই করতে হবে। কেউ যদি কোন দোকানে গিয়ে টাকা দিয়ে সেটি করে তার দায় তাকেই নিতে হবে। অনলাইনে আবেদনের জন্য কোন টাকা দিতে হয় না। শুধুমাত্র ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য ৪০০ টাকা দিতে হয়।

শহরের সপ্তপদী মার্কেটের কম্পিউটার দোকানী রফিকুল ইসলাম জানান, সপ্তাহে ৪ দিন কয়েক সেকেন্ডের জন্য ভিসা আবেদনের ই-টোকেন প্রাপ্তির ভারতীয় হাইকমিশনের অনলাইন সার্ভার উন্মুক্ত হয়। এ কারণে বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক হাজার মানুষ একই স্থানে আবেদন জমা দেয়ার চেষ্টা করেন। এতে করে অল্প সময়ে ওই সার্ভারে স্বল্প সংখ্যক মানুষের ই-টোকেন এর আবেদন গৃহিত হয়। এ কারণে ই-টোকেন পেতে বেশি সময় লাগে এবং খরচ একটু বেশি নেয়া হয়।

(এএসবি/এএস/নভেম্বর ১৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test