E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

১০ হাজার টাকাতেও মিলছে না !

২০১৪ নভেম্বর ২৩ ০৯:৩৫:৩০
১০ হাজার টাকাতেও মিলছে না !

মেহেরপুর প্রতিনিধি : সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুর। তিনটি উপজেলার অনেক গ্রামই সীমান্ত ঘেষা। আত্মীয়ের সাথে যোগাযোগ, চিকিৎসা, ভ্রমন, শিক্ষা, বিনোদনসহ নানা কারণে ভারতে যাওয়ার জন্য একটু বেশী আগ্রহে থাকেন এ জেলার মানুষজন। কিন্তু বাধ সাধছে রাতারাতি সোনার হরিণ বনে যাওয়া ই-টোকেন। এ যেন এক দুষ্প্রাপ্য বস্তু। হাজার হাজার টাকা ও মূল্যবান সময় ব্যায় করেও পাওয়া যাচ্ছে সে কাঙ্খিত ই- টোকেন।

বিনামূল্যের ই-টোকেন এখন টাকা থাকলেও পাওয়া যায়না। মাঝে মাঝে ই-টোকেন দেড় অথবা দু’হাজার টাকাতে পাওয়া গেলেও কোনো ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকাতেও মিলছে না। আর এ কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন জটিল রোগীরা। এমনকি ধুকে ধুকে সময় পার করছেন তারা। এদিকে ই-টোকেন না পেয়ে সীমান্তবর্তী মানুষ অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চর্চা বেড়ে যাতে পারে বলে ধারণা করছেন এলাকার সুধীমহল।

মেহেরপুর ম্যাক ওয়েব আইটির স্বত্বাধীকারী ইমন আহমেদ জানান, ঢাকা ও চট্রগ্রামের কিছু সংখ্যাক অনলাইন এক্সপার্টরা কৌশলে ই-টোকনে আবেদনের সময় সাইটটিকে ব্যস্ত করে রাখে। তিনি আরো বলেন, কাষ্টমারদের আকৃষ্ট করার জন্য আবার অনেক সাইবার ক্যাফে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বিশেষ সফটওয়্যার এর মাধ্যেমে ই-টোকেন দেয়ার প্রলোভন দিয়ে জনগনের কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও তিনি জানান।

ইমন আহমেদ আরো জানান, যেখানে আগে আমরা প্রতিদিন সহজেই অল্প টাকাতেই ৫/৭টি ই-টোকেন দিতে পারতাম। আর এখন পুরো সপ্তাহ মিলে ১টি ই-টোকেন তোলাও সম্ভব হয়ে উঠছে না।

টেলিকম ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম জানান, বছর দু'য়েক আগে আমরা ই-টোকেনে আবেদনের জন্য ফর্ম পূরন সহ সর্বোচ্চ ৫০ টাকা নিতাম। অথচ মাত্র কিছু দিনের ব্যবধানে তা বাড়তে বাড়তে এখন ২ হাজার টাকা নিতে হয়। কারণ হিসেবে তিনি জানান, মেহেরপুরে থেকে এখন আর ই টোকেন তোলা সম্ভব হয় না। যে কারেণে জেলার বাইরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ই-টোকেন করে দেওয়ায় ২ হাজার টাকা ছাড়া আমাদের পোষায় না। তিনি আরো বলেন, ছুটির দিন ব্যাতিত সপ্তাহের ৫ দিনে প্রতিদিন ঢাকা, রাজশাহী এবং খুলনা ভিসা অফিস থেকে ই-টোকেন দেয়া মাত্র ২ হাজার ৩শ টি। এর বিপরীতে ই-টোকেন নেয়ার জন্য আবেদন করেন কয়েক লক্ষ মানুষ। এছাড়া একই সাথে হাজার হাজার অনলাইন থেকে একই সাইটে আবেদন করায় সাইটটিব্যস্ত হয়ে পড়ে।

সদর উপজেলার ঝাউবাড়িয়া গ্রামের আনিসুজ্জামান জানান, মায়ের চিকিৎসার জন্য শহরের একটি অনলাইন আবেদন সেন্টারে ২টি ই-টোকেন করার জন্য দিয়েছি প্রায় সপ্তাহ তিনেক হলো। এখন পর্যন্ত কাঙ্খিত সেই ই-টোকেন তিনি পাননি। ফলে তার মায়ের চিকিৎসা করানো বন্ধ রয়েছে বলে তিনি জানান।

(ইএম/অ/নভেম্বর ২৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test