চিন্তায় বিজ্ঞানীরা, বন্ধ হয়ে যেতে পারে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম ধাপের সংক্রমণের ঢেউ কমে আসায় ভ্যাকসিন নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। সংক্রমণ হ্রাস পাওয়ায় ভ্যাকসিন তৈরির কাজ, এমনকি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, কঠোর লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্বের নিয়মের সফলতার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং অঞ্চলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা এতটাই কমে এসেছে যে, সম্ভাব্য ভ্যাকসিনগুলোর পরীক্ষার জন্য রোগটির পর্যাপ্ত সংক্রমণ পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা এবং ফলাফলের জন্য এখন তাই আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর দিকে তাকাতে হচ্ছে বিজ্ঞানীদের।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের পরিচালক ফ্রান্সিস কলিনস বলেন, ভাইরাল সংক্রমণের হটস্পটগুলো যদি আমরা জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবহার করে মুছে ফেলতে পারি, তাহলে আসলেই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে উৎপত্তি হওয়া করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ লাখের বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ৭০ হাজারের বেশি। করোনায় থমকে যাওয়া অর্থনীতি এবং মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে বিশ্ব নেতারা ভ্যাকসিনের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্পূর্ণ নতুন একটি রোগের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য ভ্যাকসিনগুলোর ব্যাপক পরিসরের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো দ্রুতই জটিলতার দিকে যাচ্ছে। মহামারির ওঠানামা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা পরীক্ষায় অতিরিক্ত জটিলতা তৈরি করে। প্রাদুর্ভাব যখন হ্রাস পাচ্ছে তখন এটিকে আরও জটিল করে তুলছে।
ব্রিটেনের ওয়ারউইক বিজনেস স্কুলের ওষুধ পুনরুৎপাদন বিশেষজ্ঞ আয়ফার আলী বলেন, এই পরীক্ষার জন্য কমিউনিটিতে মানুষের মাঝে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি থাকা দরকার। যদি সাময়িকভাবে ভাইরাসটিকে দমন করা যায় তাহলে এই পরীক্ষা নিরর্থক হবে।
তিনি বলেন, এর সমাধান হলো- ভ্যাকসিনের পরীক্ষার জন্য এখন ব্রাজিল এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোর দিকে নজর দিতে হবে। বর্তমানে এসব দেশে কমিউনিটি পর্যায়ে ব্যাপক সংক্রমণ ঘটছে।
ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য সাধারণত বিক্ষিপ্তভাবে জনগোষ্ঠীকে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। এর মধ্যে ট্রিটমেন্ট গ্রুপের দেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় এবং অন্য কন্ট্রোল গ্রুপের মাঝে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ওষুধ দেয়া হয়।
পরে এই দুই গ্রুপকেই কমিউনিটিতে ফিরিয়ে দেয়া হয়; যেখানে রোগটির বিস্তার ঘটে। পরে সেই কমিউনিটির মধ্যে সংক্রমণের হারের তুলনা করে দেখা হয় ভ্যাকসিনটি কার্যকর কিনা। কন্ট্রোল গ্রুপের মাঝে সংক্রমণের হার বেশি হবে বলে আশা করা হয়। এতে ভ্যাকসিনটি অন্যান্য গ্রুপকে সুরক্ষা দেবে কিনা সেটি বোঝা যায়।
ইউরোপের মূল ভূখণ্ড, ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বোচ্চ চূড়া পেরিয়েছে। এসব দেশে ইতোমধ্যে ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। যে কারণে যেসব দেশে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ওঠানামা করছে, সেসব দেশে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানোর জন্য ব্যাপক কমিউনিটি সংক্রমণের দরকার।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে ২০১৪ সালে ইবোলা ভাইরাস মহামারির সময়েও একই ধরনের সমস্যায় পড়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।
এখন পর্যন্ত করোনার যে কয়টি ভ্যাকসিন পরীক্ষার দ্বিতীয় অথবা মাঝ পর্যায়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ প্রস্তুতকারক জায়ান্ট কোম্পানি মডার্নার ভ্যাকসিনটি অন্যতম। এরপরই আছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরিকৃত অ্যাস্ট্রাজেনেকার চ্যাডক্স১ এনকোভ-১৯। যুক্তরাষ্ট্র আগামী জুলাই মাসে দেশটিতে ব্যাপক পরিসরে ২০ থেকে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর দেহে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরিকল্পনা করছে।
কলিনস বলেন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সরকারি এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ভাইরাসটির সর্বাধিক সংক্রমিত এলাকা শনাক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রেই প্রথমে পরীক্ষা চালাবে। কিন্তু দেশে যদি রোগের হার কমে যায়, তাহলে বিদেশে পরীক্ষা চালানোর বিষয়টি বিবেচনা করবেন তারা।
তিনি বলেন, বর্তমানে আফ্রিকা কোভিড-১৯ এর ব্যাপক সংক্রমণের মুখে রয়েছে। আমরা খুব ভালোভাবেই সেখানে আংশিক ট্রায়াল চালাতে চাই। যেখান থেকে আমরা কার্যকরভাবে ডাটা সংগ্রহ করতে পারি। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউটের পরিচালক আদ্রিয়ান হিল অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন টিমে রয়েছেন। তিনি বলেন, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি গত মাসে মাঝ পর্যায়ের পরীক্ষায় গেছে। এই পরীক্ষায় ব্রিটেনে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে প্রয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ কমে আসায় ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালানো বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলাফল পাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সংক্রমণ পাওয়া না গেলে ট্রায়াল চালানো সম্ভব হবে না। এটা খুবই হতাশাজনক। অনাকাঙ্ক্ষিত। কিন্তু এরকম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রয়টার্স।
(ওএস/এসপি/জুন ০১, ২০২০)
পাঠকের মতামত:
- ডুমাইনের ঘটনার দোষীদের বিচারের দাবিতে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের শান্তি মিছিল
- ‘লাল কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে বেইমানদের শিক্ষা দেবে জনগণ’
- ৩ দিনব্যাপী জালাল মেলার উদ্বোধন, দর্শক ও ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়
- নড়াইলে মাদক মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
- অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা
- ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবারও চলবে ক্লাস
- ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল আলম রকেট আর নেই
- বাগেরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ, স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু
- নড়াইলে নবগঙ্গা নদী থেকে প্রতিবন্ধী যুবকের মরদেহ উদ্ধার
- গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাব স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড
- টাঙ্গাইলে পচা মাংস বিক্রি করায় জরিমানা
- ‘এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি নয়’
- টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ইস্তিকার নামাজ আদায়
- ‘মানবাধিকার নিয়ে বাংলাদেশের অর্জন স্বীকার করেনি যুক্তরাষ্ট্র’
- টাঙ্গাইলে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উদযাপন
- বাগেরহাটে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
- মহম্মদপুরে সড়কে দুর্ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু
- বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে অঝোরে কাঁদলেন মুসুল্লীরা
- সার্বজনীন পেনশন স্কিমের রেজিস্ট্রেশন বুথ উদ্বোধন গৌরনদীতে
- মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজান সহ ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে
- সাজেকে নিহত ঈশ্বরগঞ্জের ৫ শ্রমিকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম
- গৌরীপুরে ৩ দফা দাবীতে কৃষক সমিতির স্মারকলিপি প্রদান
- গাইবান্ধায় বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের নামাজ আদায়
- দিনাজপুরে নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে পরিকল্পনা কর্মশালা
- কুষ্টিয়ায় নারী চিকিৎসককে হয়রানি, যুবকের কারাদণ্ড
- ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
- বঙ্গোপসাগরে কার্গো জাহাজডুবি, ভাসছেন ১২ নাবিক
- পার্বত্য জেলার এনজিওর বাজেট জানাতে হবে জেলা পরিষদকে
- মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়ের কারণে জনগণ জিম্মি: রিজভী
- টিসিবির জন্য কেনা হবে সাড়ে ৬১ কোটি টাকার মসুর ডাল
- মাগুরায় বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দোয়া প্রার্থনা
- নড়াইলে বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ
- শয্যা সংকটে ফ্লোরসহ এক বেডে থাকছে দুই থেকে তিন শিশু
- বেনজীর ও তার পরিবারের নগদ অর্থের তথ্য চেয়ে বিএফআইইউতে দুদকের চিঠি
- প্রমাণে ব্যর্থ রাষ্ট্রপক্ষ, অস্ত্র মামলায় খালাস ‘গোল্ডেন মনির’
- জিআই স্বীকৃতির সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে হবে: শিল্পমন্ত্রী
- যশোর পৌরসভায় তাপদাহে চাহিদার তুলনায় কমেছে পানি সরবরাহ
- বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন
- নড়াইলে খুনের ঘটনার ৫ মাস পরেও থামছে না বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট, আতঙ্কে গ্রামছাড়া মানুষ
- পাংশায় মাদক ব্যবসায়ীসহ পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার
- সোনার দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা
- চলতি বছর থাইল্যান্ডে হিটস্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু
- নিরাপদ সড়কের প্রয়োজনীয়তা
- তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তির আশায় সরিষাবাড়ীতে বিশেষ নামাজ আদায়
- ফরিদপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
- টঙ্গীবাড়িতে ভাই-ভাতিজার হাতে ভাই খুন
- পুতুল পোড়াতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ শিশু রিয়ার মৃত্যু
- বড়াইগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ভ্যান চালকের মৃত্যু
- বহিস্কার করেও ভোটমুখী নেতাদের বাগে আনতে পারছে না বিএনপি
- ফুলপুরে ট্রাক চাপায় নিহত ১
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !