E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৬ মৃত্যুর রেকর্ড, সর্বোচ্চ শনাক্ত ৩৪৭১

২০২০ জুন ১২ ১৫:১০:০৪
২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৬ মৃত্যুর রেকর্ড, সর্বোচ্চ শনাক্ত ৩৪৭১

স্টাফ রিপোর্টার : মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট এক হাজার ৯৫ জনের মৃত্যু হলো। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও তিন হাজার ৪৭১ জন। এটিও একদিনে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্তের রেকর্ড। ফলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮১ হাজার ৫২৩ জনে।

শুক্রবার (১২ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

নতুন সংযুক্ত তিনটিসহ মোট ৫৯টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে বুলেটিনে ডা. নাসিমা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ হাজার ৯৫০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৯৯০টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো চার লাখ ৭৩ হাজার ৩২২টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৪৭১ জনের মধ্যে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮১ হাজার ৫২৩ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪৬ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো এক হাজার ৯৫ জনের। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫০২ জন। ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মোট ১৭ হাজার ২৫০ জন।

নতুন করে যারা মারা গেছেন তাদের ৩৭ জন পুরুষ এবং নয়জন নারী। ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, দুজন রাজশাহী বিভাগের, তিনজন সিলেট বিভাগের, তিনজন বরিশাল বিভাগের, পাঁচজন রংপুর বিভাগের, একজন খুলনা বিভাগের এবং দুজন ময়মনসিংহ বিভাগের। এদের ৩২ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং ১৪ জন মারা গেছেন বাসায়। এদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ত্রিশোর্ধ্ব ছয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১২ জন, ষাটোর্ধ্ব ১৫ জন, সত্তরোর্ধ্ব সাতজন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী একজন, ৯০ থেকে ১০০ বছর বয়সী একজন এবং শতবর্ষী একজন মারা গেছেন।

গত বৃহস্পতিবারের (১১ জুন) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জন মারা গেছেন। ১৫ হাজার ৭৭২টি নমুনা পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ১৮৭ জনের মধ্যে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমিতের সংখ্যা শুধু বাড়েইনি, হয়েছে রেকর্ডও। এর আগে দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৪৫ জনের মৃত্যুর রেকর্ড ছিল, যা গত ৯ জুনের বুলেটিনে জানানো হয়। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ছিল ৩১৯০ জনের, যা গত ১০ জুনের বুলেটিনে জানানো হয়।

শুক্রবারের বুলেটিনে বলা হয়, এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনা রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৪৩৬ জনকে এবং এ প‌র্যন্ত আই‌সো‌লেশনে নেয়া হয়েছে ১৪ হাজার ৭৩ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৮৮ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন নয় হাজার ১২ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৮৮৮ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে তিন লাখ ১৫ হাজার ২৩২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৩৪ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৫৫ হাজার ৩৭৯ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৯ হাজার ৮৫৩ জন।

বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

করোনাভাইরাসের ছোবলে এখন গোটা বিশ্ব মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা সোয়া চার লাখ ছুঁই ছুঁই। তবে সাড়ে ৩৮ লাখ রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ।

(ওএস/এসপি/জুন ১২, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test