E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঢাকায় ৩০০ কেন্দ্রে দেয়া হবে ভ্যাকসিন 

২০২১ জানুয়ারি ১৮ ১৭:০৫:০৬
ঢাকায় ৩০০ কেন্দ্রে দেয়া হবে ভ্যাকসিন 

স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী ২৫ বা ২৬ তারিখের মধ্যে দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন চলে আসবে। এর কয়েক দিনের মধ্যে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হবে। ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য ঢাকায় ৩০০টি প্রয়োগ কেন্দ্র করা হবে।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৪২ হাজার কর্মীকে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ভ্যাকসিন দিতে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ৩০০টি কেন্দ্র করা হবে। এখান থেকে দেয়া হবে ভ্যাকসিন।

ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ ভ্যাকসিন ১৮ বছরের কম বয়সী কাউকে প্রথমে দেয়া হবে না। এছাড়া অন্য সবাই যারা এ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হবে।

ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে মন্ত্রী বলেন, সব ধরনের ওষুধে কমবেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। এটা ওষুধের গায়েই লেখা থাকে। ভ্যাকসিন দেয়ার পর কোনো সমস্যা হলে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যায়, সেজন্য ভ্যাকসিন প্রয়োগ কেন্দ্র হিসেবে হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বেছে নেয়া হয়েছে।

‘এ যাবৎ আমরা বাংলাদেশে যেসব ভ্যাকসিন দিয়ে থাকি সেখানেও কিন্তু সাইড ইফেক্ট আছে। কাজেই আমি মনে করি, এটাতে বড় কোনো সমস্যা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। নতুন সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে যাওয়ার পরিসংখ্যান এমন আভাস দিচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে সফলভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে চিঠি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধের মতো ভ্যাকসিন দেয়ার কর্মসূচিতেও ভালো করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মাত্র একটি করোনা পরীক্ষার ল্যাব ছিল, বর্তমানে ২০০টি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী লকডাউন থাকায় পিপিই সঙ্কট ছিল। বর্তমানে আমরা পিপিই রফতানি করছি। সব কিছু অজানা থাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শে করোনা চিকিৎসা পদ্ধতি সাত ধাপে পরিবর্তন করা হয়েছে। শুরুতে আমাদের কিছু ঘাটতি থাকলেও অব্যবস্থাপনা ছিল না। বেসরকারিভাবে কিছু অনিয়ম হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, যারা বিদেশ যাচ্ছেন আমরা তাদের করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে কোটির বেশি মানুষ চিকিৎসা সুবিধা নিয়েছে। এটি আমাদের একটি সফল কার্যক্রম। করোনার মধ্যেও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন থেমে নেই।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test