E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চীনে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট

২০২৩ মে ২৬ ১৩:১২:১২
চীনে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে আবারও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে করোনা ভাইরাস। নতুন ঢেউ মোকাবিলায় টিকাদান বাড়ানোর কথা ভাবছে চীনা প্রশাসন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘এক্সবিবি’ জুন মাসে সংক্রমণের শীর্ষে পৌঁছাতে পারে। আর এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ছয় কোটিতে পৌঁছাতে পারে।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এক্সবিবি’ ভ্যারিয়েন্টের কারণে এ উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গত বছর চীন তার ‘জিরো কোভিড’ নীতি থেকে সরে আসার পর নতুন ভ্যারিয়েন্টটির সংক্রমণ শুরু হয়।

গত শীতে চীন করোনাসংক্রান্ত কঠোর নীতি তুলে নেয়। তারপর থেকেই বলা হচ্ছিল, ভাইরাসটির নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব সংক্রমণের সবচেয়ে বড় তরঙ্গ সৃষ্টি করতে পারে। যদিও চীন সরকার দাবি করছে, সাম্প্রতিক উত্থান আগের মতো ভয়াবহ হবে না।

তবে দেশটির জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনায় বয়স্কদের মৃত্যু ঠেকাতে টিকাদান কর্মসূচির প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতেও অ্যান্টিভাইরাস সরবরাহ করা প্রয়োজন।

২০১৯ সালে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ব্যাপক প্রচেষ্ঠা চালাতে হয়েছিল বিজ্ঞানীদের। তিন বছর পর পৃথিবী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। তবে বিজ্ঞানীরা এরই মধ্যে পরবর্তী মহামারী নিয়ে সতর্ক করেছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুসের সাম্প্রতিক একটি সতর্কবার্তা উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, পুরো বিশ্বকে পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, যা করোনার চেয়েও ভয়ংকর হতে পারে।

তার এই মন্তব্যের পর ডব্লিউএইচও’র ওয়েবসাইটে কোন কোন রোগকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, সে বিষয়ে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা নামগুলোই পরবর্তী ভয়াবহ মহামারির কারণ হতে পারে। এই তালিকার বেশিরভাগ রোগের নামের সঙ্গে আমরা কমবেশি পরিচিত।

যেমন- ইবোলা, সার্স, জিকা। এ তালিকার শেষ রোগটির নাম ‘ডিজিজ এক্স’, যা এখন উদ্বেগের কারণ। ডব্লিউএইচও’র ওয়েবসাইট অনুসারে, শব্দটি এমন একটি মহামারীকে বোঝায়, যা এমন একটি প্যাথোজেনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটি একটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকজনিত রোগ হতে পারে। যার কোনো পরিচিত চিকিৎসা পৃথিবীতে এখনো আবিষ্কার হয়নি।

তথ্যসূত্র : দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

(ওএস/এএস/মে ২৬, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test