চাঁদপুর প্রতিনিধি : চাঁদপুরে তীব্র স্রোতে শহররক্ষা বাঁধে ৩৫ মিটার এলাকা জুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় ৩০ পরিবারের বসতবাড়ি এখন ভাঙন হুমকির মুখে রয়েছে। গত বছর একই এলাকায় ফাটল দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ এলাকার ১২টি বসতঘর ভেঙে পেছনে নিয়ে আসে। এরপর বাঁধের সংস্কার কাজ করে। কিন্তু সংস্কার কাজের ৯ মাসের মধ্যেই আবার ফাটল দেখা দিল।

এলাকার বাসিন্দা কমল জানান, ৫০ ফুট পশ্চিমে আমার ঘর ছিল। আমার ঘর ভেঙে অন্যত্র নিয়ে গেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন কাজ মান সম্মত না করায় পুনরায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তার অভিযোগ।

হঠাৎ করেই ভাঙন আতংক দেখা দেয়ায় স্থানীয় হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্স, রাস্তা, মধ্য শ্রীরামদী কবরস্থান, মসজিদ মাদরাসাসহ পশ্চিম শ্রীরামদী ও মধ্য শ্ররামদী আবাসিক এলাকা হুমকির মুখে পড়েছে।

হুমকির মুখে পড়া পরিবারের সদস্য দীপক দে জানান, বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে বাঁধের সিসি ব্লকগুলো আলাদা হতে শুরু করে। ক্রমান্বয়ে বড় আকারের ফাটল সৃষ্টি হয়। একাধিক স্থানে এ ফাটল দেখা দিয়ে আস্তে আস্তে দীর্ঘ হচ্ছে।

শনিবার সকালে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে ক্রমান্বয়ে ফাটল বড় আকার ধারণ করছে। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল হাই, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা ও চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

পাউবোর চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, ভাঙন ঠেকাতে শুক্রবার থেকেই ২৫০ কেজি ওজনের সাড়ে তিন হাজার বালু ভর্তি জিও ব্যগ ফেলা হচ্ছে। জায়গাটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। প্রচণ্ড স্রোত ও ঢেউয়ের কারণে ব্লক বেষ্টিত বাঁধের নিচের মাটি যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭)