সালথা প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথায় ধর্ষণ মামলার ভিকটিম ও বাদী জেসমিন আক্তার (১৮) নামে এক যুবতীকে কুপিয়ে জখম করেছে আসামিপক্ষ। গত শনিবার রাতে উপজেলার বল্লভদি ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামে এঘটনা ঘটে। জেসমিন ঐ গ্রামের হাবিব মোল্লার মেয়ে। গুরুত্বর আহতবস্থায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেন।

জানা যায়, ধর্ষণ মামলাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত ৮ টার দিকে আসামী পক্ষ মান্দার মোল্লার ছেলে দিপু মোল্যা ও চান্দা মোল্যার ছেলে মিন্টু মোল্যাসহ ৮/১০ জনে হাবিব মোলøার বাড়িতে হামলা চালায়। আসামিগণ ঘরের মধ্যে ঢুকে মামলার ভিকটিম ও বাদী জেসমিন আক্তারকে এলোপাতারীভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় জেসমিনকে প্রথমে মোকসুদপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হয়। তার অবস্থা আশংক হওয়ায় পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জেসমিনের মা নাজমা আক্তার জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও জেসমিনের মা নাজমা বেগম এ প্রতিনিধিকে বলেন, গত ১৫ই মে রাতে দিপু মোল্যা ও মিন্টু মোল্যা গংরা জেসমিনকে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় জেসমিন বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-০৭, তাং-১৬/০৫/১৭ইং । মামলার পর থেকেই আসামিপক্ষ বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। মামলা তুলে না নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিপক্ষ বাদী জেসমিনের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। তার অবস্থা এখন আশংকাজনক।

সালথা থানার ওসি (তদন্ত) মো. ফায়েকুজ্জামান বলেন, ধর্ষণ মামলার বাদী উপর আসামী পক্ষের হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামী মিন্টু মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকা শান্ত রাখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।

(এএনএইচ/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭)