রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : আজ মঙ্গলবার কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বহুল আলোচিত ধর্ষণ মামলার আসামী ফকরুল ইসলাম ওরফে বাবু (২৮) পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। ধর্ষক বাবু গ্রেফতার হওয়ার পর এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছে এলাকাবাসী।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়নের বোতলার পাড় নাফাডাঙ্গা গ্রামের প্রভাবশালী ফারুক মন্ডলের পুত্র এক সন্তানের জনক ফকরুল ইসলাম ওরফে বাবু (২৮) প্রতিবেশী বিজিবির ল্যান্স নায়েক হাফিজুর রহমানের স্ত্রী এক সন্তানের জননী শাহানাজ বেগম (২৭) কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এর ফলে বিয়ের দাবীতে স্বামীর ঘর ছেড়ে ধর্ষিতা শাহানাজ বেগম সম্প্রতি বাবুর বাড়িতে অনশন করে। বাবার বকে যাওয়া সন্তান লম্পট বাবু কৌশলে ধর্ষিতাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ির বাইরে নিয়ে এসে তাকে রেখে পালিয়ে যায়।

ঘটনাটি ধর্ষিতার স্বামীর বাড়ির লোকজন জানতে পেরে বাড়ীতে উঠতে দেয়নি। ফলে নিরুপায় হয়ে সে তার বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এব্যাপারে শাহানাজ বেগম রাজারহাট থানায় একটি নারী শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করে। পরদিন ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়। ধর্ষিতার ধর্ষণের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে বলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানিয়েছেন।

এদিকে মামলার পর থেকে ধর্ষক বাবু পলাতক থাকেন। কিন্তু প্রেম মানে না কোন বাধা। তাই সে প্রেমিকা প্রেমেরে টানে পূনরায় ধর্ষিতা শাহানাজের সাথে যোগাযোগ করে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে শাহানাজের বাবার বাড়ি একই উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের সোমনারায়ন (কুটিপাড়া) গ্রামের যায়।বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীরা ছুটে এসে ধর্ষক ফকরুল ইসলাম ওরফে বাবুকে আটক করে।

ধর্ষিতা শাহানাজের অভিযোগ, লম্পট বাবু ও তার অজ্ঞাত লোকজন তাকে অপহরন করে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ীতে এসেছে। আমার আত্ম চিৎকারে লোকজন এসে বাবুকে আটক করলেও অন্যান্যরা পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে রাজারহাট থানার ওসি (তদন্ত) পলাশ চন্দ্র দেবের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে ধর্ষক বাবুকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার পুলিশ তাকে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করে। বিষয়টি রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোখলেসুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।



(পিএমএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭)