বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানকে সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত নিজ কক্ষে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষকরা।

তার বিরুদ্ধে বদলী বানিজ্য, শিক্ষকদের পদউন্নতির নামে উৎকোচ গ্রহন, পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষকদের সম্মানী ভাতা আত্মসাৎ ও শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণসহ নানান অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকরা।

পাথরঘাটা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ছগির হোসেন জানান, উপজেলা নব সরকারি স্কুলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩শ শিক্ষকের সার্ভিস বইতে স্বাক্ষর করার জন্য ৬ মাস আগে শিক্ষা কর্মকর্তাকে ১ লাখ টাকা দেয়া হয় এসময় তিনি আরো কিছু টাকা দাবি করেন পরে হাবিবুর রহমানের দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় তিনি শিক্ষকদের সার্ভিস বই নিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করেন। এতে শিক্ষকরা ক্ষীপ্ত হয়ে সকালে ২শতাধিক শিক্ষক ঘুষের টাকা ফেরতের পাওয়ার দাবিতে শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

শিক্ষক নেতারা বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানকে ১০ শিক্ষকের পদউন্নতির জন্য এক লাখ টাকা এবং শিক্ষকদের সুবিধা মত বদলির জন্য তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া গত সমাপনী পরিক্ষার সময় শিক্ষকদের সম্মানি ভাতা না দিয়ে সকল টাকা তিনি আত্মসাৎ করেন।

এ ব্যাপারে শিক্ষা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, কাজ করতে গেলে নানান ভুলক্রটি হতে পারে তবে আমাকে লম্বা জামাকাপর পরে অফিস করতে দেখে সবাই জামায়াত নেতা সন্দেহে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি এব্যাপারে কিছু জানি না।

(এমএইচ/এটিআর/জুন ৩০, ২০১৪)