শ্রীকান্ত পাল, জকিগঞ্জ (সিলেট) : গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় জকিগঞ্জের শাহ হাফিজিয়া নুরানী মাদ্রাসার মাঠ ভরাটের জন্য বরাদ্ধকৃত ২ লক্ষ টাকা অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় সোনাপুর মধ্যরাস্ত উন্নয়নের দুই লক্ষ ও জামালপুর দীঘিরপার রাস্তা হইতে আশ্রম পর্যন্ত রাস্তিার দুই লক্ষ টাকা আত্মসাৎ সহ জকিগঞ্জে অন্তত ১৭টি প্রকল্পের টাকা লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এসব প্রকল্পে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন পিল্লাকান্দি শাহ শরীফ মাদ্রাসা কমিটি, সোনাপুর ও জামালপুর গ্রামবাসী।

পিল্লাকান্দি শাহ শরীফ মাদ্রাসা কমিটির সদস্য মাও. ফজলুর রহমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগে উল্লেখ করেন, জাপা নেতা নোমান উদ্দিন ও মাদ্রাসা কমিটির সদস্য ফারুক আহমদ ভুয়া কমিটি দিয়ে মাদ্রাসার মাঠ ভরাটের জন্য বরাদ্ধকৃত দুই লক্ষ টাকা উত্তোলন করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বাকী টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এ ব্যাপারে জাপা নেতা নোমান উদ্দিন ও ফারুক আহমদ জানান, বরাদ্ধকৃত দুই লক্ষ টাকার মধ্যে এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে বাকী ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করতে অফিসে খরচ হয়েছে।

অপরদিকে সোনাপুর ও জামালপুর গ্রামের সিরাজ উদ্দিন, আব্দুন নুরসহ গ্রামবাসী জেলা প্রশাসক বরাবরে পৃথক দুইটি অভিযোগ করেছেন। দু’টি অভিযোগেই প্রকল্প চেয়ারম্যান কাজলসার ইউপি সদস্য সুজিত বিশ্বাস সোনাপুর মধ্য রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়নের দুই লক্ষ টাকা ও জামালপুর দীঘিরপার রাস্তা হইতে আশ্রম পর্যন্ত রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়নের জন্য দুই লক্ষ টাকা কোন কাজ না করেই আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন গ্রামবাসী।

এ ব্যাপারে প্রকল্প চেয়ারম্যান সুজিত কুমার বিশ্বাস বলেন, বন্যা থাকায় জামালপুর দীঘিরপার রাস্তাটি কাজ করা সম্ভব হয়নি অপরদিকে সোনাপুর মধ্য রাস্তার কিছু কাজ এখনো বাকী রয়েছে বলেও তিনি স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ক কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ জকিগঞ্জে ১৭টি প্রকল্পে অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, যারা এসকল প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ প্রকল্পের টাকা উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এসপি/এসপি/অক্টোবর ০৫, ২০১৭)