সিরাজদিখান (মুন্সগিঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজদিখান আদাবাড়ি ধামালিয়া বাজারসংলগ্ন ২০০ ফুট দীর্ঘ পাকা ব্রিজটি বলগেটের ধাক্কায় ভেঙে নদীতে পড়েছে। মুন্সীগঞ্জ -লৌহজং সীমান্ত এলাকা সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নে খালি বলগেটের ধাক্কায় ব্রিজ ভেঙে দু’এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বিকালে বাহাদুর কাদির-১' নামের একটি বলগেট উপজেরার জৈনসার হতে বালু আনলোড করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ব্রিজটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। এতে ব্রিজের প্রায় ১০০ ফুট ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। পরে এলাকাবাসী থামানোর চেষ্টা করলে সারেং বলগেট ছেড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। বলগেটেটি আটক করেছে জনতা।

জানা গেছে, বলগেটের মালিক উপজেলার জৈনসার গ্রামের। এদিকে বিজটি ভেঙে পড়ায় মধ্যপাড়া আব্দুর রহমান একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মধ্যপাড়া ইউনিয়নের ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

মধ্যপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান হাজী করিম শেখ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদাবাড়ি ধামালিয়া বাজারসংলগ্ন এলাকার মানুষের চলাচলে পোড়াগঙ্গা নদীর উপর পাকা ব্রিজটি বহু আগে নির্মাণ করা হয়। জৈনসার এলাকা থেকে দুর্ঘটনা কবলিত খালি বলগেটটি চালিয়ে শুবচনী বাজার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। আদাবাড়ি ধামালিয়া বাজারসংলগ্ন ব্রিজ এলাকা অতিক্রমকালে বলগেট ব্র্রিজটির পাকা খাম্বার সাথে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে আগে থেকে হেলে পড়া খাম্বা ভেঙে ব্রিজের মধ্যের সিমেন্টের অংশটি বলগেটের উপর পড়লে বলগেটটি অর্ধেক ডুবে যায়।

এ সময় ব্রিজে থাকা কয়েকজন পথচারীরা নদীতে পড়ে আহত হয়। এদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় দক্ষিণ মালপদিয়া (নয়াবাড়ি) গ্রামের মৃত লালু হাওলাদারের ছেলে হোসেন হাওলাদার,মৃত নোয়াব আলী শেখের ছেলে মোঃ আহছানউল্লাহ,মোঃ ইছাক বেপারীর চেলে মোঃ মোশারফ হোসেন, ও রতন দাস বলেন সেতুটি ভাঙ্গার পর মুন্সীগঞ্জ -লৌহজং সীমান্ত এলাকা সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নে ধামালিয়া,নয়াবাড়ি,ধাইরপাড়া,কড়ারবাগ,মিঠুসার,ইসলামবাগ, কালপাড়া,হুগলী,রসকাঠী,ফুলকুচিসহ ১৫ গ্রামের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অত্র এলাকার মানুষ।

স্থানীয়রা আরো জানান, ব্রিজটি ঠিক করে দেয়ার জন্য বলগেট মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা উচিৎ।

(এসডিআর/এসপি/অক্টোবর ০৬, ২০১৭)