শেকৃবি প্রতিনিধি : রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন খাতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার সুবিধার্থে চারটি বাস রাখা হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন রুটে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের চাহিদার তুলনায় বাসের সংখ্যা কম। আবার চলমান বাসগুলোও প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ে। অথচ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসীন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াতকারী সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, চারটি বাসের মধ্যে একটি ব্যবহৃত হয় শিক্ষক, কর্মকর্তাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে আনা-নেওয়া করার জন্য। আরেকটি প্রায় সময়ই নষ্ট থাকে। অপর দুটিরও মাঝে মাঝে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। একবার নষ্ট হলে দুই বা তিন সপ্তাহ লেগে যায় ঠিক করতে।

তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ক্ষেত্রে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। বাসের তত্ত্বাবধান করার জন্য বিশেষ কোনো উপযুক্ত লোক নেই। একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো সুফল পাওয়া যায় নি।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রো ও একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সও প্রায়ই অকেজো হয়ে পড়ে। সময়মত সেগুলোও মেরামত করা হয় না।

ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে আসা শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত সংখ্যক বাস নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা কখনও কখনও হেনস্থার শিকার হয়ে থাকে। এর আগে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতও হয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে দুজনের নামানুসারে দুটি বাসের নামকরণ করা হয়েছে আলিফ ও শাহীন। শিক্ষার্থীদের বহনকারী পর্যাপ্ত সংখ্যক বাস না থাকায় সময়মত ক্লাস, পরিক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তারা বাধ্য হয়ে বহিরাগত যানবাহনে চলাফেরা করে। ফলে মাঝে মাঝে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী বলেন, সাধারণ ছাত্রদের জন্য বাস কম। তার ওপর মাঝে মাঝে রাজনৈতিক বা অন্যান্য বিশেষ প্রোগ্রামের জন্য বাস নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে আমরা যারা হলে থাকি না তাদের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা রাখা উচিৎ।

কতিপয় শিক্ষার্থী জানান, 'খিলগাঁও -মতিঝিল -গুলিস্থান -নিউমার্কেট রুটে একশত জনের অধিক শিক্ষার্থী হওয়ায় শুধুমাত্র এই রুটের জন্য একটি ডাবল ডেকার বাস সরবরাহ করতে হবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবহনের ব্যাপারটিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। '

এ ব্যাপারে পরিবহন পুলের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ না করায় তা সম্ভব হয় নি।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ -উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী বলেন, 'আমাদের গাড়ির চালক সংখ্যা কম। গাড়িও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। পরবর্তী বাজেট বা প্রকল্প নির্ধারণের সময় এ সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। '

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ০৭, ২০১৭)