রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিচার না পেয়ে এক ধর্ষিতা যুবতি বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।  শনিবার উপজেলার ৩নং মোহনা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মোল্লা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  ধর্ষক একই গ্রামের আটিয়া বাড়ির মৃত লকিয়ত উল্যার ছেলে রহমান (৩০)। ওই যুবতী বর্থমানে রায়পুর সরকারী হাসপাতালে মৃত্যূর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

ধর্ষিতার লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ২ জুন ঘরে একা পেয়ে সখিনার খালাতো ভাই রহমান ধারালো ছুরি ঠেকিয়ে ভয় প্রাণে হত্যার ভয় দেখিয়ে যুবতীকে ধর্ষণ করে । পরে ধর্ষিতা শারীরিকভাবে অসূস্থ হলে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। তাকে এলাকার গ্রাম্য ডাক্তার মানিকের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয়।

বিষয়টি ধর্ষিতার মা ফাতেমা বেগম, ধর্ষকের মা তৈয়বা বেগম ও ভগ্নিপতি জসিমকে জানালে তারা বিবাহের মাধ্যমে মীমাংসা করে দিবে বলে আশ্বস্ত করেন। এক পর্য়ায়ে তারা ধর্ষিতাকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপুরন হিসেবে দেয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে ধর্ষিতা হতাশ হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করে। ইউএনও আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করে রায়পুর থানার ওসিকে দেন। ওসি বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য ৩ নং চরমোহনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেন।

চেয়ারম্যান দুই পক্ষকে মীমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠক করেন। বৈঠকে ধর্ষক দোষ স্বীকার করলে চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিগন দুইজনের বিয়ের সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু বিয়ের তারিখের আগেই ধর্ষক পালিয়ে যায়। এর জের ধরে গত ৬ অক্টোবর ধর্ষকের মা ও ভগ্নিপতি ধর্ষিতার বাড়িতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও কুপিয়ে মেরে ফেলার দেয়ার হুমকি দিয়ে আসে। এঘটনার পরই ধর্ষিতা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শফিক পাঠান বলেন, ঘটনার সত্যতা পেয়ে আমি বিয়ের সিদ্ধান্ত দেই, কিন্তু ছেলে পালিয়ে যাওয়ায় কার্যকর করতে পারিনি। হাসপাতালে গিয়ে সখিনাকে দেখে এসেছি। ব্যাপারে রায়পুর থানার ওসি একেএম আজিজুর রহমান বলেন, অভিযোগের আলোকে আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শায়লা জাহান বলেন, আমরা সখিনার পাকস্থলী ওয়াশ করে বিষমুক্ত করার চেষ্টা করছি। পুরোপুরি সূস্থ হতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে।

(পিকেআর/এসপি/অক্টোবর ০৮, ২০১৭)