যশোর প্রতিনিধি : যশোরে ঘিরে রাখা বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা নুরুল ইসলাম মারজানের বোন খাদিজার দেয়া শর্ত মোতাবেক তার বাবা-মাকে ঘটনাস্থলে আনা হয়েছে। দুপুর পৌনে ৩টার দিকে তাদের ওই বাড়ির সামনে আনা হয়। এরআগে খাদিজাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হলে তিনি ‘আগে তার বাবা-মাকে এনে দেয়ার’ শর্ত দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘটনাস্থলে থাকা কোতয়ালি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা।

ওসি জানান, পুলিশ সুপার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খাদিজাকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান। এরপর পৌনে ২টার দিকে খাদিজা ভবনের বেলকোনিতে এসে পুলিশকে শর্ত দিয়েছে। তার বাবা মাকে এনে দিতে হবে। তারপর তিনি কথা বলবেন। এরপর তিনি আবার ভিতরে চলে যান।

এদিকে সোমবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান হাত মাইকে খাদেজা ও তার পরিবারের সদস্যদর আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, ওই বাড়িতে ৫টি পরিবার ছিল। তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় জঙ্গি মারজানের বোন খাদিজা রয়েছে। তার সঙ্গে একাধিক শিশু রয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছি। আমরা আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছি।

শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোড এলাকার ওই বাড়িটি রবিবার মধ্যরাত থেকে ঘিরে রাখা হয়েছে। সোয়াটের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

ঘোপ নওয়াপাড়া রোড মসজিদের পেছনের বাড়িটির মালিক যশোর জিলা স্কুলের শিক্ষক হায়দার আলী জানান, চারতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া মশিউর রহমানের ফ্ল্যাটে জঙ্গি রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তিনি একটি হারবাল কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুর রহমান (ক সার্কেল) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সোয়াটের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়। সোমবার ভোর ৫টার দিকে এএসপি মাহবুবের নেতৃত্বে সোয়াটের একটি টিম যশোরে এসে পৌঁছেছে। পাশাপাশি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটও যশোরে এসে পৌঁছেছে।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ০৯, ২০১৭)