মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীল কলাপাড়াসহ গোটা উপকূলজুড়ে আমনক্ষেতে এখন বইছে সবুজের সমারহ। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এ বছর আমনের বাম্পার ফলনের উজ্জল সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় কৃষকের চোখে মুখে ফুটে উঠছে উচ্ছলতা।

এবার আমন ক্ষেতে পোকা মাকড়ের উপদ্রব গতবারের মতো আক্রমন না থাকলেও কৃষকরা বালাইনাশক কীটনাশক প্রয়োগ করছেন বাড়তি সতর্কতা হিসেবে। এবছর মধ্য জুলাই এবং আগস্টের প্রথম দফায় পর পর দুইবারের টানা প্রবল বর্ষণে সহস্রাধিক কৃষকের প্রায় দেড় হাজার একর আমন বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। দুই দফা বর্ষনের জলাবদ্ধতা ছাড়া এ বছর প্রকৃতি এখন পর্যন্ত আমন আবাদের অনুকূলে রয়েছে বলে শতকরা ৯০ ভাগ কৃষকের অভিমত।

সরেজমিনে উপজেলারর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সর্বত্র বইছে সবুজের সমারহ। একমাস আগে যেসব কৃষকের চোখেমুখে ছিল হতাশা তাদের মুখে এখন স্বস্তির ছাপ ।

মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক জহির (৩১) জানান, তিনি এবছর সাত একর জমিতে আমন আবাদ
করেছেন। সে জানায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার ফলন ভালো হবে। এ গ্রামের কৃষক কবির জানায়, গত বছরের মতো এবছর কানিতে ৮০ মনের বেশি ধান পাবেন বলে আশা করছেন।

লালুয়া ইউনিয়নের কৃষক বারেক মিয়া জানান, তিনি এবছর ১২ একর জমিতে আমনের আবাদ করেছেন। একবার জলাবদ্ধতায় এই কৃষকের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তারও মন্তব্য আর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবছর আমনের ভাল ফলন পাবেন।

লালুয়া ইউনিয়নের দাসের হাওলা গ্রামের কৃষক আব্দুর রব ঢালী জানালেন, তারা হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ করেছেন। সমন্বিতভাবে ৩০ একর জমিতে হাইব্রিডের আবাদ করেছেন। তাদের প্রত্যাশা একর প্রতি এক শ’ মন ধান ঘরে তুলতে পারবেন। আমন চারার ধরন খুবই ভাল দেখছেন এসব কৃষক। এভাবে এক মাস কিংবা দেড়মাস আগেও যেসব কৃষকরে চোখেমুখে ছিল হতাশার ছাপ তারাও এখন আমন চারার সবুজ ক্ষেতের দিকে চেয়ে নিচ্ছেন স্বস্তির নিঃশ্বাস। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের শতকরা ৯০ ভাগ কৃষকের ক্ষেতের আমন চারায় এখন বইছে সবুজের সমারহ।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মো.মশিউর রহমান জানান, এ বছর আমন ক্ষেতের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এবারবাম্পার ফলন হবে।

(এমকেআর/এসপি/অক্টোবর ১১, ২০১৭)