শরীয়তপুর প্রতিনিধি : ইতালী প্রবাসী শরীয়তপুরের যুবক ইমরান হোসেন মিলন ছৈয়াল(৩৫) কে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। মিলন শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের সিংহলমুড়ি গ্রামের অবসর প্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ ইসহাক ছৈয়ালের বড় ছেলে।

ইসহাক ছৈয়াল দীর্ঘদিন যাবৎ স্বপরিবারে ঢাকা জুরাইনে দারোগা বাড়ি এলাকার ১ নং সড়কের ৩৩ নং বাড়িতে (নিজ বাড়ীতে) স্বপরিবারে বসবাস করে আসছেন। ২০০৪ সালে ইমরান হোসেন মিলন ইতালী পাড়ি জমায় কর্মের উদ্দেশ্যে। এর আগে তার ২০০০ তার মেজ ভাই মোঃ মামুন ছৈয়াল এবং পরে ২০০৮ সালে ছোট শাহিন ছৈয়াল ইতালী যান।

মিলন ২০১৪ সালে নারায়নগঞ্জের পাগলা এলাকায় বিয়ে করেন। গত রমজান মাসে সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ থেকে ইতালীতে যান। আগামী ডিসেম্বর মাসে মিলনের স্ত্রী আশা আক্তারকে ইতালী নিয়ে যাওয়া কথা ছিলো।

মিলনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মিলন ইতালীর রাজধানী রোম শহরে চাকুরী সূত্রে বসবাস করতেন। গত রবিবার নতুন কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য তিনি বাসা থেকে বের হন। সময় মতো বাসায় ফিরে না আসায় ছোটভাই মামুন ও শাহিন রোম পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। সোমবার বিকেলে রোম শহরের অদুরে লিদু-দি-অষ্টিয়া নামক সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে মিলনের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহটি মিলনের ভাই মামুন শনাক্ত করেন।

নিহত মিলনের স্বজনদের ধারনা, রোমের পাতাল রেলের কর্মস্থলে যাওয়া পথে পন্তেমালমলো নামক এলাকা থেকে মিলনকে অপহরণ করা হয়। পরে তাকে সমুদ্র সৈকত এলাকায় নিয়ে হত্যা করা হয়।

মিলনের বোন রুনা ইসলাম জানান, গত ১৫ দিন আগে মিলন রোমে নতুন একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী খুঁজে পায়। চাকুরীতে যোগদানের আগে ইতালীর স্থানীয় দুই যুবক তাকে ওই কাজে যোগদান করতে বাধা দেয়। পরে প্রতিষ্ঠানের মালিকের মধ্যস্থতায় মিলন সেখানে তার কর্ম শুরু করে। এর ১৫ দিন পরেই মিলনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।

রোমের আইনজীবী ও পুলিশের সহায়তায় মিলনের মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানান রুনা ইসলাম।

(কেএনআই/অ/অক্টোবর ১১, ২০১৭)