এই যুগে ফ্রিজ ছাড়া একটা দিন কল্পনাই করতে পারি না আমরা। যেকোনো পচনশীল দ্রব্য বিশেষ করে শাক-সবজি, ফলমূল, মাস-মাংসসহ বিভিন্ন দ্রব্য দীর্ঘদিন সজীব ও সতেজ রাখতে জুড়ি নেই ফ্রিজের।

কিন্তু কিছু কিছু দ্রব্যে আছে যেগুলো কখনোই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। কারণ এগুলো ফ্রিজে রাখলে তা নষ্ট হয় যায়।
যেসব দ্রব্যে একেবারেই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়-

আলু
আলু ফ্রিজে রাখলে তা শ্বেতসার তৈরি করে যা চিনি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। যার ফলে আলুর স্বাদে পরিবর্ন হয়। এছাড়ও রান্না করার আগে তাদের রং পরিবর্ন হয় এবং খাবার সময় আলুর প্রতি অনীহা জন্মে।

পেঁয়াজ
পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। আর এটি শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও আলু আর পেঁয়াজ এক সঙ্গে রাখও ঠিক না। আলু থেকে আদ্রর্তা ও বিভিন্ন গ্যাস নির্গত হয় যা পেঁয়াজ পচিয়ে দিতে পারে। পেঁয়াজ সংরক্ষণ করার ভালো উপায় হলো জালের থলেতে রাখা যাতে করে বায়ু সঞ্চালন হতে পারে।

রসুন
পেঁয়াজের মতো রসুনও ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। পেঁয়াজের মতো রসুনও আলো ও বায়ুতে রাখাই ভালো। কারণ রসুনের মূল রসুনকে এমনিতেই দুই মাস সংরক্ষণ করবে। আবার কেউ কেউ বলেন রেফ্রিজারেশন আগে আগেই রসুন অঙ্কুরোদগম হতে সাহায্য করে।

টমেটো
টমেটো ফ্রিজে রাখলে টমেটোর কোষ ভেঙে যায়। এরফলে টমেটোর রং সাদাটে এবং নরম হয়ে যায়। তাই টমেটো স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সরাসরি সূর্যালোক থেকে দূরে রাখতে হবে। কারণ সূর্যের আলোয় এটি আগেই ও অসময়ে পেকে যেতে পারে।

কলা
কলা আলোতে রুমের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখাই ভালো। কলা ধীরে ধীরে পাকাতে চাইলে রেফ্রিজারেশনে রাখা যেতে পারে। কলা ফ্রিজে রাখলে তার ত্বক বাদামী বর্ণের হলেও ভিতর থাকতে পারে কঠিন। আর কলাতে বরফ জমতেও পারে।

তরমুজ
সতেজ তরমুজ সাধারণত রান্না ঘরে রাখাই ভালো। রান্না ঘরে রাখলেই তরমুজ পাকতে ও মিষ্টি হতে পারে। অপর পক্ষে কাটা তরমুজ ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।

মসলা
রেফ্রিজারেশনের আর্দ্রতা মসলার স্বাধের ক্ষতি করতে পারে। আর দীর্ঘদিন মসলা স্বাভাবিকভাবেই সংরক্ষণ করা যা। তবে মসলা ফ্রিজে রাখলে তার কোনো গুণাগুণ নেই।

মধু
মধু কখনো ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। কারণ মধু রেফ্রিজারেশনে রাখলে তা জমে যেতে পারে।
আর আপেল, কফি, ডিম, ঘি, আচার, সালাত, সস যেগুলো রেফ্রিজারেশনে না রাখাই ভালো তবে রাখলে তেমন ক্ষতি নেই।

(ওএস/এস/জুন ৩০, ২০১৪)