দিনাজপুরের রামসাগর দীঘিতে মাছ শিকার উৎসব
শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী কিংবদন্তি রামসাগর দীঘিতে চলছে মাছ শিকার উৎসব। এ দীঘিতে মাছ শিকার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শৌখিন মাছ শিকারীরা। শুক্রবার ও শনিবার দু’দিনব্যাপী চলবে এ মাছ শিকারের উৎসব।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় উদ্যান রামসাগর দীঘি। এ দীঘিকে ঘিরে রয়েছে কিংবদন্তি ইতিহাস। আর এ দীঘিতে মাছ শিকার উৎসব ! চারদিকে পড়ে যায় সাড়া,তুমুল আলোচনা। কারা হবেন ভাগ্যবান- এ দীঘিতে মাছ শিকারে ? কারা পাবে মাছ শিকার অনুমতি’র টিকেট ? অবশেষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৪ হাজার টাকা ফি’র মাধ্যমে একটি করে মাছ শিকারের টিকিট দেয়া হয়েছে। এক টিকিটে দু’ জন ব্যক্তি মাছ শিকারের অনুমতি পেয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন পেশার শৌখিন মৎস্য শিকারীরা শুক্র ও শনিবার এ দীঘিতে মাছ শিকারে অংশ নিয়েছে। আশানুরুপ মাছ শিকারে কেউ কেউ ইতোমধ্যে সফলও মাছ শিকারে।
প্রতি মৎস্য শিকারীরা একটি টিকিটের বিপরিতে ৩টি বরশি বা হুইল ব্যবহারের অনুমতি পায়। এতে টিকিট মূল্য ৪ হাজার টাকা ছাড়াও,মাছের খাদ্য চারা-টপ,যাতায়াত বাহন, ভাড়া,অবস্থান,খাওয়া-দাওয়াসহ আনুসাঙ্গিত প্রায় জন প্রতি ১০ হাজার টাকা বাড়তি ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছে মাছ শিকারীরা। সেখানেই তাবু টেনে অস্থানীয় ঘর করে দিন-রাত সৌখিন মাছ শিকারীরা অবস্থান করছেন।
রাজধানী ঢাকা থেকে আগত সৌখিন মাছ শিকারী ব্যাংকার আবু ফয়সল জানালেন,তিনি ইতোমধ্যে ৩টি মাছ শিকার করেছেন। এর মধ্যে গ্রাসকাপ মাছটির ওজন কমপক্ষে ১২ কেজি। আর ছোটটি রুই। ওজন দেড় কেজি’র মতো।
নওগাঁ থেকে আগত ইমরুল জানানেল,তিনি খুব আনন্দ উপভোগ করছেন। ব্যবসায়ী ইমরুল তার ভাইকে নিয়ে এসেছেন মাছ শিকারে । ইতোমধ্যে একটি কাতল মাছ পেয়েছে সাড়ে ৩ কেজি ওজনের।
জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম বলেছেন,হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এই মাছ শিকার উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এটা বিনোদনের জন্য। তাছাড়া মাদকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা ও রামসাগর এলাকাকে মাদক মুক্ত করার জন্যই এ আয়োজন।
আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্রকে টিকিয়ে রাখতে দিনাজপুরের কিংবদন্তী রামসাগর দীঘিতে মাছ শিকারের উৎসব চলছে। আর এ মাছ শিকার করছেন,সখিন মাছ শিকারীরা।
(এসএএস/এসপি/অক্টোবর ১৩, ২০১৭)