কক্সবাজার প্রতিনিধি : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার ফলে মিয়ানমার নমনীয় হয়েছে। মিয়ানমারের পক্ষে দীর্ঘদিন চাপ হজম করা কঠিন হয়ে পড়বে। এটি অব্যাহত থাকলে তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে ফেরত নিতে বাধ্য হবে। সু চির সাম্প্রতিক বক্তব্যেও নমনীয়তা লক্ষ্য করা গেছে। তবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনে দ্বিপাক্ষিক নয়, মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশ জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা চায়।

শুক্রবার কক্সবাজারের হোটেল দ্যা কক্স-টু-ডে’র সম্মেলন কক্ষে রোহিঙ্গাদের জন্য আনা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির ত্রাণ গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রোহিঙ্গাদের জন্য কিছু অসুবিধা হলেও স্থানীয়দের ধৈর্য্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার এক দিকে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহযোগিতা প্রদান করছে, অন্যদিকে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখছে। অং সান সু চির অবস্থা বর্তমানে জলে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখতে কাজ করছে সরকার।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) থেকে ২০ লাখ টাকার চেক, চট্টগ্রামস্থ খুলশী ক্লাবের পক্ষ থেকে ১০ লাখ টাকার চেক, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির পক্ষ থেকে ১১ হাজার ২০০ পরিবারের জন্য ত্রাণ, চট্টগাম মহল মার্কেট থেকে ২ হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণসহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত ত্রাণ গ্রহণ করা হয়।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম, আওয়ামী লীগের ত্রাণ উপ কমিটির চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম মুন্সী, চট্টগ্রাম মহল মার্কেটের স্বত্বাধিকার জসিম উদ্দিন আহমদ, খুলশী ক্লাবের সভাপতি শামশুল আলম উপস্থিত থেকে ত্রাণ সামগ্রী ও চেক মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, এমপি আশেক উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, রাশেদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে আওয়ামী লীগ নেতারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ করতে যান।