ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর ৩ জন ও পাবনার ২ জনসহ বাংলাদেশের রেকর্ড সংখ্যক প্রতিনিধি রাশিয়ার সোচিতে  অনুষ্ঠিত ১৯ তম বিশ্ব যুব ও শিক্ষার্র্থী উৎসব’ ২০১৭-এ এবারে অংশগ্রহন করেছে। রবিবার বিকেলে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। ২২ অক্টোবর পর্যন্ত এই উৎসব চলবে।

এই সোচিতেই ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত হয় শীতকালীন অলিম্পিক গেম্স এবং ফর্মুলা ওয়ান এর গ্রাঁ প্রি। এবার ১৫০টি দেশের ১৮ থেকে ৩৫ বছরের ২০,০০০ এর অধিক প্রতিনিধি যুব উৎসবে অংশ নিচ্ছে। অংশগ্রহনকারীদের জন্য অন্যান্য কর্মসূচীসহ বিজ্ঞান ও শিক্ষা, সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে।

ঈশ্বরদীর মোট ৩ জন এবং পাবনার ২জন এই ফেস্টিভালে যোগদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে গত শুক্রবার রাশিয়ার সোচির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে শনিবার ভোরে পৌছেছে। ঢাকাস্থ রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রে সূত্রে জানা যায়, উৎসবটি বিশ্ব যুব সম্প্রদায়কে আরো সংঘবদ্ধ করবে। বিভিন্ন দেশ, জাতি ও সংস্কৃতির মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। ইয়ুথ এক্সচেঞ্জসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ হতে শতাধিক প্রতিনিধি এবারের এই আর্ন্তজাতিক ফোরামে অংশ নিচ্ছে। উৎসবে সারা বিশ্ব থেকে উদ্যমী ও প্রতিভাবান যুবক-যুবতীরা অংশ নিচ্ছে, যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাদের যোগ্যতার প্রমান রাখতে সমর্র্থ হয়েছেন।

এ বছরের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এই যুব ইভেন্টের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে রুশ রাস্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন-রোসাটম সত্যিই আনন্দিত বলে জানা গেছে। রোসাটম বাংলাদেশের ১১ জনকে এই উৎসবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

রোসাটম সূত্র জানায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প শুধুমাত্র বানিজ্য ও অর্থনীতির ক্ষেত্রেই নয় বরং বিভিন্ন মানবিক ইস্যুতেও বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা আরো বেগবান করবে। আগামী দিনগুলোতে পরমাণু শক্তি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমনা তরুনদের জন্য ‘ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ’ ক্ষেত্রে একটি প্লাটফর্ম হয়ে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে ৫০ জন বাংলাদেশী রাশিয়ায় নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে শিক্ষালাভ করছে। এবছর আরো ২০ জন তাদের সঙ্গে যুক্ত হবার অপেক্ষায় রয়েছে।

বিশ্ব যুব ও শিক্ষার্থী উৎসব ১৯৪৭ সালে প্রথমবারের মতো প্রাগে অনুষ্ঠিত হয়। ইতোপূর্বে ১৯৫৭ ও ১৯৮৫ সালে রাশিয়া মস্কোতে উৎসবটি আয়োজন করে। এবারের উৎসবে জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত ১৭ টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক কিছু বৈশ্বিক কিছু সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা ও শিক্ষামূলক ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবের একেকটি দিন বিশ্বের বিশেষ কোন অঞ্চলকে উৎসর্গ করা হবে। উৎসবের অফিসিয়াল ভাষা হবে জাতিসংঘের ওয়ার্কিং ভাষা হিসেবে স্বীকৃত ইংরেজী, আরবী, স্প্যানিস, চীনা, রুশ ও ফরাসী।

(এসকেকে/এসপি/অক্টোবর ১৫, ২০১৭)