সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের গোয়াখোলা বাজারে গত শনিবার রাত দেড়টার সময় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৯টি দোকান ঘড় ভস্মীভূত হয়েছে। এ ঘটনায়  বাজারের দোকান  মালিকগণ ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি  হয়েছে বলে  দাবি করেছেন।

সিরাজদিখান থানা পুলিশ ও অন্য ব্যবসায়ীরা জানান, চায়ের দোকান থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয় । মুহূর্তে আগুন আশপাশের অন্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে পরে শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটের একটি গাড়ি এসে বাসাইল বাজারের ভাঙ্গা ব্রিজ পাড় হয়ে গোয়খোলা বাজারে না আসতে পারায় এলাকার লোকজনই খালের পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

গোয়খোলা বাজারের মার্কেটের মালিক মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, শনিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে মালামালসহ ৯টি দোকান ঘড় ভস্মীভ’ত হয়েছে । এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন সিরাজদিখান উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস না থাকায় ও বাসাইল বাজারের ব্রিজ ভাঙ্গা থাকার কারণে আগুন নেভাতে দেরি হওয়ায় এতগুলো দোকান পুড়ে গেছে।

পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো হলো আরাফাত মোল্লা ফার্মেসী,রুবেল বেপারীর মোদী দোকান,আমানের চায়ের দোকান,ভজন পালের স্বর্ণের দোকান,রাকিব বাংলাদেশ ফার্নিচার, ভনজন শীল টেইর্লাস এন্ড ক্লথ,দীন ইসলামের কাপড়ের দোকান,বিমলের সেলুন,সাজাহান মীরের কাঠের দোকান।

রাকিব বাংলাদেশ ফার্নিচার মাঠের মালিক মোঃ রাজন শেখ বলেন, তাঁদের দোকানে আগুনে প্রায় ১৪/১৫ লাখ টাকার ফার্নিচার আগুনে পুড়ে গেছে। গতকাল সোমবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের ৫ লাখ টাকার ফার্নিচারের ডেলেভারি দেয়ার কথা ছিল। এতে আমি সর্বশান্ত হয়ে গেছি।

মেসার্স দেওয়ান ফার্মেসির মালিক মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা দাবি করেন, তাঁর দোকানের প্রায় তিন লাখ টাকার ঔষধ ও ফার্নিচার পুড়ে গেছে।

বাসাইল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য হাজী আইয়ুব খান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চায়ের দোকান থেকে আগুন লেগেছে। বাজারের রাস্তাগুলো অপ্রশস্ত, দোকান র্পন্ত ফায়ারসার্বিস না আসার কারণে ও পর্যাপ্ত পানি না থাকায় আগুন নেভাতে বেশি সময় লেগেছে।

অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে সিরাজদিখান উপজেলা ও এলাকার বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

(এসডিআর/এসপি/অক্টোবর ১৫, ২০১৭)