আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাখাইনে সহিংসতা, ধ্বংস ও জোরপূর্বক রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুতির জবাবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মিয়ানমারের একটি প্রকল্পে ২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ স্থগিত করা হবে বলে জানিয়েছে এ সংস্থাটি।

নবীন গণতান্ত্রিক মিয়ানমারের সঙ্গে গত আগস্টে এক ঋণ-চুক্তি সাক্ষর হয় বিশ্বব্যাংকের। মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে এই ঋণ সহায়তা চুক্তি ছিল বিশ্বব্যাংকের সরাসরি প্রথম অর্থায়ন।

এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংক বলছে, মিয়ানমারকে এখনো সহায়তা অব্যাহত রেখেছে বিশ্বব্যাংক। সকল জাতিগত ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, ও গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে মিয়ানমারের সঙ্গে জোরালোভাবে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক; বিশেষ করে রাখাইনে।

সরকারি প্রশাসন এবং দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এই ঋণপ্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল। বিশ্বব্যাংক বলছে, রাখাইনের সহিংসতা বন্ধ না হওয়া পর্যংন্ত ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ এই ঋণ সহায়তা স্থগিত রাখা হবে।

‘আমরা... সম্প্রতি অনুমোদিত উন্নয়ন ঋণের শর্তাবলি পর্যালোচনা করেছি এবং ঋণ কার্যকর করার জন্য আরও অগ্রগতি প্রয়োজন। জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সরকারের নিপীড়নের ঘটনায় বিশ্বব্যাংক এবং তাদের অংশীদার পদক্ষেপ না নেয়ায় সম্প্রতি সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে।’

গত আগস্টের শেষের দিকে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরা নিরাপত্তাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলা চালায়। হামলার জবাবে বেসামরিকদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর অভিযান শুরু করে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই অভিযানে মানবিক সঙ্কটে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশি বাংলাদেশে পালিয়েছে।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ১৬, ২০১৭)