গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনার পর মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থী ও আউট সোর্সিং কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাতজন আহত হয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. আসাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার মেডিকেল কলেজের উত্তেজিত ছাত্ররা হাসপাতালের এক্স-রে কক্ষ ও আসবাবপত্র ভাংচুর এবং আউট সোসিং কর্মচারীদের মারধর করে। এ সময় ছাত্ররা হাসপাতালের অনিয়ম, অব্যবস্থার প্রতিবাদ জানায় এবং আউট সোর্সিং ঠিকাদারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।সোমবার দুপুরে এক ছাত্র এক্স-রে কক্ষে মায়ের এক্স-রে করাতে গিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করে।

জানা গেছে, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুব্ধ। দুপুরে মেডিকেল কলেজের এক ছাত্র তার মায়ের এক্স-রে করাতে হাসপাতালের এক্স-রে কক্ষে নিয়ে যায়। কাগজে চিকিৎসকের স্বাক্ষর না থাকায় টেকনিশিয়ান এক্স-রে করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্র ফিরে আসে। পরে ছাত্ররা জোট বেঁধে এক্স-রে কক্ষে গিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় সেখানে উপস্থিত আউটসোর্সিং কর্মচারী শাহীন বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থী এবং আউট সোর্সিং কর্মচারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও মারামারি বেঁধে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্র জানায়, আউটসোর্সিং কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারে তারা অতিষ্ঠ। ক্ষিপ্ত ছাত্ররা তাদের নানা অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে।

মঙ্গলবার সকালে আউট সোর্সিং কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এলাকায় বিক্ষোভ করে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুইপক্ষ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে সাতজন আহত হয়।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ১৭, ২০১৭)