সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে রবি ও খরিপ-১ মৌসুমে সরিষা ও বিটি বেগুন চাষে  প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও  প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিরাজদিখানের আয়োজনে উপজেলা কৃষি অফিস চত্ত্বরে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫৫০জন কৃষকের মাঝে এসব বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানবীর মোহম্মদ আজিম, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ নজরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুবোধ চন্দ্র রায়,সিরাজদিখান প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দাস রনক, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকতা মোহসিনা জাহান তোরণ, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ আজিজুর রহমান মাসুদ, উপজেলা প্রকৌশলী সোয়োব বিন আজাদ,উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মোঃ নাছির উদ্দিন, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, এবার উপজেলায় প্রনোদনা কর্মসূচি আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ৫৫০জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ বিঘা জমির জন্য বারি ১৪ জাতের সরিষাা বীজ ১ কেজি, ডিএপি ২০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি বিতরন করা করা হয়। বাংলাদেশে বেগুন গুরুত্বপূর্ণ সবজি, যা মোট সবজি উৎপাদনের শতকরা প্রায় ১০ ভাগ। বিটি বেগুন-৪ জাতের বীজ ২০ গ্রাম , ডিএপি ১৫ কেজি, পটাশ ১৫ কেজি। ৫ জন কৃষকের কাছে বিতরন করা হয়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকের পরম বন্ধু। এ কারণেই দেশের চাদিা মিটিয়ে বিদেশে চাল রপ্তানী করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।

চিত্রকাট ইউনিয়নের কালসুর গ্রামের কৃষক জয় হরি মলিøক বলেন, 'এই এলাকায় আমিই প্রথম বিটি বেগুন আবাদ করেছি। এখন আমার দেখাদেখি অনেকেই বিটি বেগুন চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। তবে তাদের আমি বীজ দিতে পারছি না।' বিটি বেগুনের স্বাদ ও জনপ্রিয়তার কথাও এ কৃষক জানিয়েছেন, 'বিটি বেগুন আমরা প্রায় প্রতিদিনই খাই। স্বাদের দিক থেকে অন্য যে কোনো বেগুনের তুলনায় অনেক ভালো। আর এই বেগুন বিক্রি করতে বাজারে নিয়ে গেলে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। কার আগে কে নেবে- শুরু হয় সেই প্রতিযোগিতা।'

(এসডিআর/এসপি/অক্টোবর ১৮, ২০১৭)