কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : ‘আর কি হবে মানব জনম বসবো সাধু মেলে’। তৃষ্ণা থেকেই যাবে। তবুও লালন ভক্ত অনুসারীরা আখড়াবাড়ি ছাড়ছেন। আধ্যাত্মিক সাধক বাউল সম্রাট লালন শাহের ১২৭ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় লালন আখড়াবাড়িতে চলা তিন দিনের লালন স্বরনোৎসব আজ বুধবার শেষ হচ্ছে।

রাতে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে লালন স্বরনোৎসবের সমাপ্তি ঘোষনা করবেন। তাই তৃষ্ণাত মনে লালনের অহিংস মানবতার বানী নিয়ে ভক্তরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক উপ-মহাদেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক সাধক পুরুষ বাউল সম্রাট লালন ফকিরের মৃত্যুর পর প্রথমে তার অনুসারীরা পরে আখড়া কমিটি ও লালন একাডেমি এই
লালন স্বরনোৎসব পালন করে আসছে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এবারের তিনদিন ব্যাপী লালন স্বরনোৎসব শেষ হচ্ছে আজ।

এই তিন দিনে লালন ফকিরের জাতহীন মানবধর্মে দিক্ষিত হয়ে তার জীবন-কর্ম, ধর্ম-দর্শন, মরমী সংগীত ও চিন্তা চেতনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদেরকে খাটি করে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন অনুসারী ভক্তরা।

যাবার সময় সাইজীর সমাধীস্থলে চির নিদ্রায় শায়িত ধর্ম গুরু লালনকে বিশেষ ভংগিতে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করছেন ভক্ত অনুসারীরা। এরপর আত্মার সম্মিলন এই মিলন মেলায় গুরু শিষ্য একে অপরের কাছ
থেকে বিদায় নিয়ে নিজালয়ে ফিরছেন। তারা বলছেন, ভবের হাট ছেড়ে যেতে কষ্ট হচ্ছে। তবে বেচে থাকলে পূর্ণতা সাধনের জন্য অবারও সাধুসঙ্গে ফিরে আসবেন তারা।

এদিকে স্বরনোৎসবে শেষদিন হওয়ায় মাজারের বাইরের মাঠে চলা লালন মেলা এখনও জমজমাট। আজও গভীর রাত পর্যন্ত মূল মঞ্চে চলবে লালনের গান।

(কেকে/এসপি/অক্টোবর ১৮, ২০১৭)