স্টাফ রিপোর্টার : সকল বাধা আর ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে  নিজস্ব টাকায় পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে। জুলাই মাসেই শুরু হচ্ছে পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণের কাজ। আগামী ২০১৮ সালে এই সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হবে। এতে ব্যয় হচ্ছে তিন বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা।

মঙ্গলবার সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির এক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

একদিন বিরতি দিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে শুরু হয় সংসদ অধিবেশন। ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া এতে সভাপতিত্ব করেন।

যোগাযোগমন্ত্রী জানান, দ্বিতল হবে পদ্মা সেতু। সেতুর ওপর তলা দিয়ে চলবে সাধারণ যানবাহন আর নিচের তলা দিয়ে চলবে ট্রেন। দুই ভাগে ব্যয় হচ্ছে পদ্মা সেতুর বরাদ্দকৃত অর্থ। এর প্রথম ভাগে থাকছে মূল পদ্মা সেতুর কাজ এবং দ্বিতীয় ভাগে থাকছে বাইপাস সড়ক এবং নদী শাসনের কাজ। বাইপাস সড়ক আর নদী শাসনে খরচ হবে ৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ। সব মিলিয়ে তিন বিলিয়ন ডলার বা ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো খরচ পড়বে।

তিনি বলেন, এই অর্থ সংগ্রহ প্রথমে অনেক কঠিন মনে হলেও এখন মনে হচ্ছে ততটা কঠিন নয়। নিজেদের অর্থেই এটা সম্ভব। এ ছাড়া চায়না ব্রিজ কোম্পানি সিকিউরিটি মানি হিসেবে ১২ হাজার কোটি টাকা প্রদানের শর্তে নির্মাণ চুক্তি করেছে। যে কারণে খুব সহজে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে।

যোগাযোগমন্ত্রী আরো বলেন, এই পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের চিন্তা করবে সরকার। সেইভাবে তিনটি কোম্পানির সঙ্গে প্রাথমিক কথাও সেরে রাখা হয়েছে।

(ওএস/এইচআর/জুলাই ০১, ২০১৪)