শামীম হাসান মিলন, চাটমোহর (পাবনা) : পাবনার চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছায় কৃষি জমি লীজ নিয়ে অননুমোদিত ইটভাটা স্থাপন করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইটভাটা স্থাপনের বিষয়ে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন কিংবা কৃষি বিভাগ কিছুই জানে না বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ইটভাটা স্থাপনকারী কোন ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি। ইটভাটা স্থাপন কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরাও এ ব্যাপারে মুখ খোলেনি।

সরেজমিন অনুসন্ধান চালিয়ে এলাকাবাসী ও ভাটা নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকার “সিটিবি” নামক একটি প্রতিষ্ঠান গুনাইগাছা এলাকার কাদরের ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে প্রায় ৩০ বিঘা ফসলী কৃষি জমি লীজ নিয়ে ইটভাটা স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এলাকার প্রায় ২০জন কৃষক বার্ষিক প্রতি বিঘা ২০ হাজার টাকায় জমি লীজ দিয়েছেন। এই জমি দু’ফসলী। চৈতালী ও ধান উৎপাদন হয়ে থাকে।

গত মঙ্গলবার সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় বেশ কিছু শ্রমিক ইটভাটা নির্মাণ কাজে নিয়োজিত। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জহুরুল নামের এক ইঞ্জিনিয়ার প্রতি সপ্তাহে এসে তাদের মজুরী পরিশোধ করেন। তার কোন মোবাইল নম্বর শ্রমিকদের কাছে নেই বলে জানান। এলাকাবাসী বা শ্রমিকরা ইটভাটা স্থাপনকারী কাউকে চেনেন না। অথচ সরকারের অনুমোদন ছাড়াই নির্বিঘ্নে কৃষি জমি বিনষ্ট করে ইটভাটা তৈরি করা হচ্ছে। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি কথা বলার জন্য। ইটভাটা তৈরি বা স্থাপনের পূর্বে পরিবেশ অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট শাখার অনুমোদন নিতে হয়। এক্ষেত্রে ভাটা স্থাপনকারীদের কোন অনুমোদন নেই বলে একাধিক সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান রশিদ হুসাইনী জানান, ইটভাটা স্থপানের আগে কৃষি বিভাগের প্রত্যায়ন নেওয়া বাধ্যতামুলক। কিন্তু এক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। প্রত্যায়নের জন্য তারা কোন আবেদনও করেনি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রশাসনিক পদক্ষেপ কেবল ইউএনও মহোদয় নিতে পারেন বলে তিনি জানান।

নবাগত চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার ট্রেনিংয়ে থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

(এসএইচএম/এসপি/অক্টোবর ১৯, ২০১৭)