ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদী শহরের অরনকোলা এলাকার নারী উদ্যোক্তা রোকেয়ার পোল্ট্রি খামার স্বচক্ষে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ঈশ্বরদীর উপজেলা চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টু। স্বত্তাধিকারী রোকেয়া আক্তার পরিশ্রম, ধৈর্য্য, অধ্যাবসায়, সাহস ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে আজ আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল। পরিশ্রম, সংগ্রাম ও সাহসিকতার মধ্য দিয়ে পোল্ট্রি খামার করে তিনি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা ও খামারি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তাঁর সফলতার খবর লোকমুখে শুনে শুক্রবার সকালে রোকেয়ার পোল্ট্রি খামারচেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টু।

রোকেয়া জানান, বিয়ের আগে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বানিজ্যিক লেয়ার ফার্মে ম্যানেজমেন্টে কর্মরত ছিলেন। বিয়ের পর সংসারের অভাব দুর করতে ২০০৩ সালে বসত বাড়ির আঙ্গিনায় লেয়ার জাতের ১ হাজার মুরগি পালনের মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্রে পথচলা শুরু করে আজ তিনি সফল পোল্ট্রি খামারি। কৃষি ক্ষেত্রে নিত্য নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে আজ রোকেয়া পোল্ট্রি ও কৃষি খামারের পরিধি বৃদ্ধি পেয়ে ২৬ বিঘায় উন্নিত হয়েছে। রোকেয়ার খামারে ৬ হাজার মুরগি রয়েছে ৪ হাজার মুরগি ডিম দেয়, বাকি গুলো ছোট বা”চা। প্রতিদিন তিনি খামার থেকে ৩ হাজার ৮’শ ডিম বিক্রি করে থাকেন। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের জন্য রোকেয়া ইতোমধ্যে জাপানী একটি সংস্থায় কৃষির উপর ১৮ মাসের প্রশিক্ষণও নিয়েছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টু বলেন, রোকেয়া একজন কঠোর পরিশ্রমী ও নারী উদ্যোক্তা। রোকেয়ার পরামর্শ ও সহযোগিতায় অরনকোলা এলাকার অনেক বেকার পোল্ট্রির সাথে জড়িত ও পারিবারিক ভাবে আর্থিক লাভবান হয়েছেন।

রোকেয়ার পোল্ট্রি খামারটি পরিপাটি ভাবে সাজানো গোছানো। পোল্ট্রি খামারের পাশাপাশি মাছ চাষ, ধান, হলুদ, পেয়ারা, লিচু, ঢেরস, লাউ, শিমসহ সকল প্রকার সবজি ও ফলের গাছ রয়েছে। কঠোর পরিশ্রম করে বেকারত্বকে দু-হাতে পিছে ঠেলে দিয়ে রোকেয়া একজন মডেল পোল্ট্রি খামারি হিসেবে ইতোমধ্যে ঈশ্বরদীতে পরিচিতি লাভ করেছেন। রোকেয়া পোল্ট্রি খামার করে কিছুটা হলেও দেশের মুরগি, ডিম ও মাছের চাহিদা পূরণ করছেন, সেই সঙ্গে পুষ্টির যোগানও দিচ্ছেন।

(এসকেকে/এসপি/অক্টোবর ২০, ২০১৭)