সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেত্রকোনা-৩, কেন্দুয়া-আটপাড়া নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামীলীগ দলীয় তৃণমূল নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিকদল ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের মুখে মুখে দাবি একটাই, আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সৎ, যোগ্য ও নতুন মুখের প্রার্থী  চাই। এ দাবিতে আজ সবাই অনড়।

দেশের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তনয়া বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে দলের সভা সমাবেশে ঘোষনা দিয়েছেন, যে সব এমপি, নেতা কিংবা কোনমন্ত্রীও যদি কোন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতি, নিয়োগ বানিজ্যের সঙ্গে জড়িত আছেন বা ছিলেন, যাঁদের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে, যাঁরা দলীয় দলীয় নেতাকর্মীদের দূরে ফেলে রেখে নিজস্ব বাহিনী গঠন করে নিজেদের আখের গোছানোর কাজে ব্যস্ত রয়েছেন, অথচ নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন সভা সমাবেশে নিজেদের সৎ বলে দাবি করে জনগনের সঙ্গে প্রহসন করে যাচ্ছেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশেই তাদের কপাল পুড়বে। দেয়া হবে না দলের মনোনয়ন।

এ ধারনাই শতকরা ৯৫ ভাগ। অপর দিকে যাঁদেরকে দলের মনোনয়ন দেয়া হতে পারে, যাঁরা দলের জন্য র্দীঘদিনের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতা, যাঁরা দলের জন্য, দেশের জন্য রক্ত দিয়েছেন, ঘাম ঝরিয়েছেন, জেল খেটেছেন, যাদের বিরুদ্ধে নেই কোন অনিয়ন, দুর্নীতি, নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ, নেই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দুরত্ব, সর্বোপুরি শেখ হাসিনার অগ্নি পরীক্ষায় যারাই উত্তীর্ণ হতে পারবেন, তাদেরকেই দেয়া হতে পারে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন।

এছাড়া যারা মানবিক গুনাবলির অধিকারী, যাদের রাজনৈতিক জীবন দেশ, মাটি ও মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন, যারা প্রকৃত পক্ষেই জাতির পিতার আর্দশের সৈনিক, যারা শেখ হাসিনার একনিষ্ঠকর্মী আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশসহ নেত্রকোনা-৩ আসনের কেন্দুয়া-আটপাড়া নির্বাচনী এলাকায় তাদেরকেই মনোনয়ন দেয়ার দাবি এখন সবার মুখে মুখে ফিরছে। বছর ঘুরে আসছে মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

এ নির্বাচনে কে জিতবে, কে হারবে,কাকে মনোনয়ন দিলে, যিনি হবেন সবার গ্রহণযোগ্য প্রার্থী, এই হিসাব নিকাশই চলছে এখন চলছে দলের ভেতরে ও বাইরে। তাছাড়া বিভিন্ন সংস্থা ও গণমাধ্যমকর্মীরাও এসব তথ্য তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগনের কাছ থেকে মতামত সংগ্রহ করে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পাঠাচ্ছেন আগামী মনোনয়ন দানের জন্য।

নেত্রকোনা-৩, (কেন্দুয়া-আটপাড়া) নির্বাচনী এলাকায় যেসব সম্ভাব্য প্রার্থীরা, নৌকার গণজোরার গড়ে তুলতে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর যৌথ প্রচারনায় (অসীম উকিল দম্পত্তি) অনেক এগিয়ে রয়েছেন। তারা ঘরে ঘরে নৌকার গণজোয়ার গড়ে তুলতে নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন ইউনিয়নে সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন তৃনমূল নেতাকর্মীদের জাগিয়ে তুলতে। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে যাঁরা মনোনয়ন পেতে মাঠে ঘুরাফেরা করছেন এদের মধ্যে আওয়ামীলীগ নেতা শিল্পপতি সামছুল কবির খান, ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান মানিক, সাবেক এমপি মঞ্জুর কাদের কোরাইশী, বর্তমান এমপি ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু, পদ বঞ্চিত তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন, সাবেক ছাত্রনেতা আলমগীর হাসান, আটপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী খায়রুল ইসলাম ও সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট এম জুবেদ আলীর ছেলে এ্যাডভোকেট আবুল বাশার মো: আমিরুল ইসলাম (তুষার), কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক মিয়া মো: শফিক ও স্বেচ্ছাসবেকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি প্রবাসী ও কল্যান বিষয়ক সহ-সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন কবির।

তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের মতে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সাবেক এমপি মঞ্জুর কাদের কোরাইশী তার মেয়াদকালে এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। তবে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছিল তা এখনও রয়েই গেছে। একটি অংশের নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি তার পথ চলেছেন। অধিকাংশ দলীয় নেতাকর্মীর মতে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি পদে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে হয়েছে অনিয়ম দুনীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মনে করেন নিয়োগ বাণিজ্য অনিয়ম, দুর্নীতির কারনেই হয়তবা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন না দিয়ে শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক তুলে দিয়ে ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর হাতে। এবারতো শেখ হাসিনা অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঘোষনাই দিয়েছেন, যারাই অনিয়ম, দুর্নীতির সাথে জড়িত তাদের দলে ও মনোনয়নের ÿেত্রে কোন প্রকার মূল্যায়ন করা হবে না। এদিকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত এমপি ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু তিনি একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি। তিনি এমপি হবার পরও দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দলাদলী ও বিশৃঙ্খলা মিটমাট করতে পারেননি এমন কি উদ্যোগও নেননি। এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাফরপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরী বিভিন্ন সভা সমাবেশে প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন, আওয়ামীলীগের পার্লামেন্টারী বোর্ড অথবা শেখ হাসিনা যাতে জনবিছিন্ন কোন নেতাকে দল থেকে আগামীর মনোনয়ন না দেন।

বর্তমান এমপি পিন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, সৎ মানুষ হিসাবে তিনি টাকা নেন না। এ কথা মঞ্চে উঠে বলা সহজ, কিন্তু কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে যে সব নিয়োগ হয়েছে সেখানে কিন্তু নিয়োগ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য হয়েছে। তিনি সভাপতি থাকলেও এসব অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করতে পারেননি।

এলাকার তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও জনমনে আলোচনা সমালোচনা রয়েছে, এমপি ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু এসব নিয়োগ থেকে নিজে সরাসরি টাকা না নিলেও নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও বাণিজ্য বন্ধ করতে না পারা তার চরম ব্যর্থতা। এছাড়া গত ঈদুল আজাহা ও শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে তিনি এলাকায় আসেন নি এমনকি কোন প্রকার খোজখবর না নেয়ার সকল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চার করেছে। বিশিষ্ট শিল্পপতি আওয়ামীলীগ নেতা সামছুল কবির খানের বিরুদ্ধে কোন অনিয়ন দুর্নীতির অভিযোগ নেই। তাছাড়া তিনি কোন দায়িত্বেও নেই। দলের নেতাকর্মীদের মতে তিনি আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন। কিন্তু নানা কারণে বিগত নবম ও দশম জাতীয় সংসদের মনোনয়ন না পেয়ে অনেকটাই হতাশাগ্রস্থ তার কর্মী সমর্থকরা।

তবে প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভোটে বিজয়ী ও মনোনীত প্রার্থী আসাদুল হক ভূঞার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বর্তমান এমপি ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু বিজিত প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছিলেন। এ আলোচনাও সবার মুখে মুখে আছে। তবে নতুন করে নেতাকর্মীদের নিয়ে আবার তিনি মাঠে নেমেছেন। পদ বঞ্চিত তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ছাত্রনেতা এ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন দলের রাজনীতিতে একেবারেই নিরব। মাঠের রাজনীতিতে সরব উপস্থিতি নেই তার। তবে তিনি একজন ভাল বক্তা। তার ও তার কর্মী সমর্থকদের দাবী আগামী নির্বাচনে নৌকার ভোট সংগ্রহের জন্য ভেতরে ভেতরে যা যা করা দরকার সবই করছেন তিনি। তাই আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক অবশেষে আব্দুল মতিনের হাতেই তুলে দেবেন।

এছাড়া তার পরিপরিকল্পনায় স্থানীয় নির্বাচনে বিগত দিনে বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধিও নির্বাচিত হয়েছেন। তারাও আব্দুল মতিনের সাথেই আছেন এবং থাকবেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এবার নতুন করে মাঠে নেমেছেন ঢাকা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান মানিক। তিনি নৌকার জন্য কাজ করতে ঘোষনা দিয়ে মাঠে নেমেছেন।

সম্প্রতি শারদীয় দূর্গোৎসবের পূজা মন্ডপে পরিদর্শনে গিয়ে তিনি কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া বাজারে প্রথম মত বিনিময় সভায় বলেন, ঈদের পর তিনি রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের সাথে দেখা করতে বঙ্গ ভবনে গিয়েছিলেন। তখন রাষ্ট্রপতির দোয়া চান তিনি। সে সময় রাষ্ট্রপতির পরার্মশ পেয়েই তিনি দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে নৌকার পক্ষে মাঠে ঘুরাফেরা করছেন।

এছাড়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ মিছিলের একজন হিসাবে গত ১৪ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে তার হাতে সম্মানা স্মারক তুলে দেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী। এলাকায় তার তেমন একটা পরিচিতি না থাকলেও প্রতি শুক্রবার, শনিবার তিনি তার মত করে বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় করছেন। তার মতে তিনি যদি আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নাও পান তবুও নৌকা প্রতীক যিনিই পাবেন তার পক্ষেই শক্তিশালী ভাবে মাঠে থাকবেন।

এছাড়া নির্বাচনের ইচ্ছা প্রকাশ করে মাঝেমধ্যে নেতাকর্মীদের সাথে সময় দেন কেন্দুয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক মিয়া মো: শফিক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আলমগীর হাসান, আটপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী খায়রুল ইসলাম। তারাও কমবেশি তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। অপরদিকে নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত ভাবে উঠোন বৈঠক, সভা সমাবেশ ও গণসংযোগ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নব্বইর গণআন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। তার সঙ্গে একজোট হয়ে মাঠে কাজ করছেন বাংলাদেশ যুব মহিলালীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি অধ্যাপক অপু উকিল।

নৌকার পক্ষে গণজোয়ার গড়ে তুলতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তারা। তারা বিভিন্ন সভাসমাবেশে বলছেন, আগামী নির্বাচনে নৌকার মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাতে হবে। অসীম কুমার উকিল প্রতিটি সভাসমাবেশে কর্মী সমর্থকদে উদ্দেশ্যে বলছেন, ‘‘যতদিন শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ, ততদিন পথ হারাবেনা বাংলাদেশ’’। কেন্দুয়া আটপাড়ার তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীসহ অধিকাংশ নেতাকর্মীই এবার দাবী তুলেছেন আমাদের দাবী ‘‘এবার নেত্রকোনা-৩, আসনে দাবী একটাই সৎ, যোগ্য প্রার্থী নতুন মুখ চাই”।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: নুরুল ইসলাম অসীম কুমার উকিলের সঙ্গে এক মঞ্চে উঠে বলে আসছেন, যারা সার্বক্ষণিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তারা এমপি হলে এলাকার উন্নয়ন হবে এবং রাজনৈতিক পরিবেশ হবে অত্যান্ত সুন্দর। আমি সেসব রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আছি এবং থাকব চিরদিন। এদিকে কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়র বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা আসাদুল হক ভূঞা বিভিন্ন সভা সমাবেশে বলে আসছেন অসীম কুমার উকিল অনেক বড় মাপের একজন প্রভাবশালী ক্লিন ইমেজের সৎ ও গ্রহণযোগ্য নেতা। এ পর্যন্ত আমার রাজনৈতিক জীবনে তার বিরুদ্ধে কোন অনিয়ম দুর্নীতির কথা শুনিনি। আমি মনেকরি এলাকার উন্নয়নের প্রশ্নেই অসীম কুমার উকিলের একবার এমপি হওয়া দরকার। তিনি এমপি হলে মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অনেক বেশি। তাই এলাকার উন্নয়নের প্রশ্নে তৃণমূল পর্যায়ের হাজার হাজার নেতাকর্মীর দাবির সঙ্গে আগামী সংসদ নির্বাচনে সৎ ও গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নের দাবী জানাই।

এ দাবিতে কেন্দুয়া পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি কামরুল হাসান ভূঞা, দলপা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিউর রহমান, আশুজিয়া ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সভাপতি মঞ্জুর আলী, গন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান সাজিদুল ইসলাম সঞ্জু, সান্দিকোনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পাঁচবারের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম, রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট নুরুল আলম, পাইকুড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রোয়াইলবাড়ি ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বদরুল ইসলাম, গড়াডোবা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহজাহান ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক সেলিম, মোজাফরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ চৌধুরী, কান্দিউড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুসলেম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আউয়াল, চিরাং ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এনামূল কবির খানসহ আটপাড়া উপজেলার সরমুশিয়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লুনেরস্বর ইউনিয়ন সভাপতি সম্পাদক , সুকারী ইউনিয়নের সম্পাদকসহ প্রায় শতাধিক ওয়ার্ড আওয়ামীলগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক আগামী নির্বাচনে সৎ ও গ্রহণযোগ্য নতুন মুখের প্রার্থীর মনোনয়ন চান।

তাছাড়া কেন্দুয়া উপজেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি কল্যানী হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহনাজ বেগম ও সাধারণ সম্পাদক রেহেনা আক্তার এবং আটপাড়া উপজেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি তানিয়া নাজনিন চৌধুরী রেখা ও সাধারণ সম্পাদক নাছিমা আক্তার দুই উপজেলার নারী ভোটারদের সংগঠিত করে তারাও শেখ হাসিনার নিকট দাবী তুলছেন আগামী নির্বাচনে সৎ ও গ্রহণ যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন চাই।


(এসবি/এসপি/অক্টোবর ২২, ২০১৭)