আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের রায় ঘোষণা আগামীকাল বুধবার। নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক স্থায়ী সালিশি আদালত (পিসিএ) এ রায় দেবেন।

এর আগে ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র বিরোধের রায়ের মাধ্যমে সমুদ্রে একাংশের সীমানা পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার ভারতের সঙ্গে সমুদ্র বিরোধ রায়ের মধ্য দিয়ে সমুদ্রে পূর্ণাঙ্গ ও স্থায়ী মানচিত্র পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে আটদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে সমুদ্রসীমা নির্ধারণ নিয়ে শুনানি হয়। শুনানির ছয় মাসের মধ্যে রায় ঘোষণার কথা জানান পিসিএ।

দুই দেশের জলসীমা শুরু হবে কোত্থেকে, সেটাই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরোধের মূল বিষয়। এছাড়া ভূমিরেখার মূল বিন্দু থেকে সমুদ্রে রেখা টানার পদ্ধতি নিয়েও মতবিরোধ রয়েছে। পিসিএ দুই দেশের উপস্থাপিত যুক্তিতর্ক এবং মেমোরিয়াল ও কাউন্টার মেমোরিয়াল বিবেচনা করে রায় প্রকাশ করবেন। ডিসেম্বরের শুনানির বিভিন্ন পর্যায়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও আইনজীবী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সমুদ্র বিরোধ নিষ্পত্তিতে আদালতে যাওয়ার বিষয়ে ভারতকে রাজি করানোর বিষয়টিই বাংলাদেশের জন্য কূটনৈতিক সাফল্য। এখন যত দ্রুত সম্ভব এটির নিষ্পত্তি চাই। কারণ সীমানা নির্ধারণ না হওয়ায় বাংলাদেশ মহীসোপানে তার এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন ঘোষণা করতে পারছে না।’ আদালতের রায় বাংলাদেশের পক্ষে আসবে— এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরো বলেন, এর আগেও এ অঞ্চলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রায়টি ইকুইটেবল বা সমতার ভিত্তিতে হয়। তবে রায় যা-ই আসুক না কেন, সমুদ্রে বাংলাদেশ একটি স্থায়ী মানচিত্র পাবে।

উল্লেখ্য, এর আগে একইরকম মামলায় মিয়ানমারের বিপক্ষে মামলায় রায় হয়েছে।

(ওএস/এটিআর/জুলাই ০১, ২০১৪)