সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : প্লে শ্রেণীতে পাঠরত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুর একটার দিকে সাতক্ষীরা শহরের মধুমোল্লারডাঙিতে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা ওই শিশুকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।

মধুমোল্লারডাঙির আব্দুল হামিদের বাড়ি ভাড়াটিয়া এক ট্রাক চালক জানান, তাদের বাড়ি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামে। পেশাগত কারণে সাত বছর ধরে তিনি সস্ত্রীক সাতক্ষীরায় থাকেন। তার মেয়ে (৭) সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের একটি কিন্টার গার্টেনের প্লে শ্রেনীতে পড়ে।

সোমবার দুপুর একটার দিকে তিনি ঘরের বারান্দায় সবজি কুটছিলেন। এ সময় টিভিতে কার্টুন দেখার জন্য একই মালিকের ভাড়াটিয়া মোশারফ হোসেনের স্ত্রী মনিরা পারভিন তার মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায়। মনিরা রান্না ঘরে রান্না করার সময় সিটি কলেজ মোড়ের আয়েশা মোটর গ্যারেজের কর্মচারি তাদের একই মালিকের ভাড়াটিয়া শ্যামনগরের সুমন (১৮) মেয়েটির মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে তিনিসহ প্রতিবেশীরা চলে আসলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দুপুর একটা ৩৫ মিনিটে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ৬নং ওয়ার্ডের ৯নং শয্যায় ভর্তি করা হয়।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের গাইনোকোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ এহছান আরা ওই শিশুকে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিক করে বলেন, তার চিকিৎসা চলছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদ জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রথম এ ঘটনা শুনেছেন। ধর্ষককে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।

(আরকে/এসপি/অক্টোবর ২৪, ২০১৭)