আন্তজার্তিক ডেস্ক : শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘে নবনিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত হামিদ আবুতালেবি’কে ভিসা না দেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন সরকার। জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত হিসেবে ইরান যাকে নিয়োগ দিয়েছে তাকে ভিসা দেয়া সম্ভব নয় বলে শুক্রবার জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জে কারনে বলেছেন, জাতিসংঘ এবং ইরানকে জানানো হয়েছে, মি. আবুতালেবি’র জন্য আমরা ভিসা ইস্যু করবো না।

এর আগে মার্কিন সিনেট আবুতালেবিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না দেয়ার আইন রেখে যে বিল পাস করেছিল বৃহস্পতিবার তা সর্বসম্মতভাবে অনুমোদন করে প্রতিনিধি পরিষদ। সিনেটে গত ৭ এপ্রিল টেক্সাসের রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজের উত্থাপিত বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

তবে মার্কিন সরকারের এ সিদ্ধান্তকে অগ্রহণযোগ্য বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান । তেহরান বলেছে, বিষয়টি নিয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলে লড়বে দেশটি। মার্কিন সরকার এমন সময় ইরানি রাষ্ট্রদূতকে ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানালো যখন জাতিসংঘের আইন অনুযায়ী এ বিশ্ব সংস্থায় নিয়োগ দেয়া প্রতিটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে ভিসা দিতে বাধ্য ওয়াশিংটন।

মার্কিন সিনেট অভিযোগ করছে, ১৯৭৯ সালে গুপ্তচরবৃত্তির আখড়া হিসেবে পরিচিত তেহরানস্থ তৎকালীন মার্কিন দূতাবাস দখলের ঘটনায় আবুতালেবি জড়িত ছিলেন। ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের পর ১৯৭৯ সালের ৪ নভেম্বর ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্র মার্কিন দূতাবাস দখল করেন। আগে থেকেই তারা ধারণা করেছিলেন, দূতাবাসটি ইরানের ইসলামি সরকারের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির আস্তানায় পরিণত হয়েছে। দূতাবাস দখলের পর সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া কাগজপত্রে ইরানি ছাত্রদের সে ধারণা সঠিক প্রমাণিত হয়।

তবে হামিদ আবুতালেবি মার্কিন দূতাবাস দখলের ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি ওই ঘটনার দিন অনুবাদক হিসেবে দু’পক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করেছিলেন। এর আগে তিনি অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইরানের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ১২, ২০১৪)