বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় ১২ বছর বয়সী ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বাড়ির পাশে মেলা দেখতে যাওয়ার সময় একটি বাঁশ ঝাড়ে তাকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায় ধর্ষকরা।

পথচারীরা দেখতে পেয়ে শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং পুলিশে সংবাদ দেয়। পরে গাবতলী থানা পুলিশ শিশুটিকে তাদের হেফাজতে নেয়।

এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হলে বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের আমতলী পোড়াপাড়া গ্রামের খালেক প্রামানিকের ছেলে ফারুক হোসেনকে (১৮) গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গাবতলীর সোনারায় ইউনিয়নের তেলিহাটা কামারপাড়া গ্রামে জগোদাত্রী পূজা উপলক্ষে চার দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করে স্থানীয়রা।

ঘটনার দিন রাতে মেলা দেখার জন্য গাবতলী উপজেলার মাসুন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী যাওয়ার সময় মেলার পাশে বাগান এলাকায় অবস্থান করা দুর্বৃত্তরা শিশুকে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।

একপর্যায়ে শিশুটি জ্ঞান হারালে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে ওই দিক দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবেশীরা শিশুকে দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

খবর পেয়ে পুলিশ ওই শিশুকে থানা হেফাজতে নেয় এবং মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বুধবার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা বাদী গাবতলী থানায় মামলা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়ার গাবতলী থানা পুলিশের ওসি খায়রুল বাসার বলেন, শিশুকে যারা ধর্ষণ করেছে সেই দুবৃর্ত্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। থানায় মামলা হয়েছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০১, ২০১৭)