আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বুধবার হচ্ছে না বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের রায় ঘোষণা। ফলে সমুদ্র সীমা নিয়ে ভারতের সঙ্গে শেষ হওয়া আইনি লড়াই শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষা কিছুটা দীর্ঘায়িত হল। তবে জুলাই মাসেই এ রায় হতে পারে। বিভিন্ন কূটনীতিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নেদারল্যান্ডসের হেগ-এ অবস্থিত আন্তর্জাতিক সালিশি আদালত (পিসিএ) এ মামলার রায় দেবেন।

এর আগে ২০১২ সালে মায়ানমারের সঙ্গে সমুদ্র বিরোধের রায়ের মাধ্যমে সমুদ্রে একাংশের সীমানা পায় বাংলাদেশ।

গত ১৮ ডিসেম্বর ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা মামলার শুনানি শেষ হয়। শুনানির ছয় মাসের মধ্যে রায় ঘোষণার কথা জানান স্থায়ী সালিশি আদালত। অমিমাংসিত সমুদ্রসীমা নিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে মামলা চলার পর রায় পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দুই দেশের জলসীমা শুরু হবে কোত্থেকে, সেটাই ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিরোধের মূল বিষয়। এছাড়া ভূমিরেখার মূল বিন্দু থেকে সমুদ্রে রেখা টানার পদ্ধতি নিয়েও মতবিরোধ রয়েছে। সালিশি আদালত দুই দেশের উপস্থাপিত যুক্তিতর্ক এবং মেমোরিয়াল ও কাউন্টার মেমোরিয়াল বিবেচনা করে রায় প্রকাশ করবেন।

রায় প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালালয়ের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, রায় কবে হবে সেটি এখনও চূড়ান্ত নয়। তবে আগামী ২ জুলাই রায় হচ্ছে না এটা বলতে পারি।

রায় ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ সম্পর্কে তিনি বলেন, রায় ঘোষণার তারিখ এখনও আমরা জানতে পারিনি। জানলেই সঠিক সময়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গণমাধ্যমকে জানাবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ রায় প্রসঙ্গে বলেন, ভারতের সঙ্গে সমুদ্র বিরোধ নিষ্পত্তি পাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। রায় পেলেই বাংলাদেশ মহীসোপানে নিজস্ব এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন ঘোষণা করতে পারবে। জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের রায়ে বাংলাদেশ সুবিচার পাবে বলেই তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে সদ্য ঢাকা সফর করে যাওয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আকবরউদ্দীন ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেন, সমুদ্রসীমা বিষয়ে দুদেশের লড়াই আইনি প্রক্রিয়ায় চলছে। শীঘ্রই রায় ঘোষণা হতে পারে। রায় যাই হোক না কেন আমরা তা মেনে নেব। এবং দুদেশের বন্ধুত্বে এ রায় কোন প্রভাব ফেলবে

ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধের রায় বুধবার


(ওএস/এটিআর/জুলাই ০১, ২০১৪)