মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডের সৈয়ারপুর এলাকার মনুনদীর তীরে শতাধিক আধা কাচা ও টিনসেডের তৈরি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন পূর্বে টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের কারনে নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে এসব বাড়িঘর হটাৎ করে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে।

আজ (বুধবার) দুপুরের দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর পানির স্রোত স্বাভাবিক রয়েছে তবে, নদীর পাড়ের বস্তি এলাকার বাসিন্দারা রয়েছেন আতঙ্কে , কারন যেকোন সময় নদীগর্ভে বিলিন হতে পারে তাদের বাড়িঘর।

নিজ বাড়ি নদীগর্ভে বিলিন হওয়া স্থানীয় সমাজকর্মী শ্যমলীসূত্রধর জানান, এ পর্যন্ত নদীগর্ভে প্রায় শতাধিক বাড়িঘর বিলিন হয়ে গেছে। এসব বাড়ির বাসিন্দারা অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান শ্যামলী সূত্রধর। অপর দিকে ঘরের অর্ধেক অংশ ভেঙ্গে গিয়ে পানির স্রোতের সাথে বিলিন হযে যাওয়ার কারনে বিপাকে পড়ে পরিবার সহ নিজের সন্তানদের নিয়ে বেশ দূর্ভোগে আছেন বস্তি এলাকার গৃহিনী নিয়তী দাশ। তিনি বলেন খুব কষ্টে আছি, যেকোন সময় পুরো ঘরটি নদীগর্ভে বিলিন হতে পারে।

শ্যামলী সূত্রধর জানান, নদীগর্ভে বাড়িঘর বিলিন হওয়ার খবর পেয়ে বস্তি এলাকা পরিদর্শন করেছেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, তবে ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাশ চৌধূরী সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন থাকার কারনে পরিদর্শনে আসেননি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, যেসব জায়গায় ভাঙ্গন হয়েছে সেসব জায়গায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন তৎপরতা নেই। এপর্যন্ত বসতভিটা থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট জায়গা নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। তারা বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি সঠিক তদারকি করে পাথর ও বালুর বস্তা দিয়ে বাঁধ পূর্ণ নির্মাণ না করে তা হলে ধিরে ধিরে সম্পূর্ণ নদীর তীর গ্রাস হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ তোফায়েল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নদীগর্ভে বাড়িঘর বিলিন হওয়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই, তবে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন।

অপর দিকে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভিপি মিজান জানান, নদীগর্ভে বাড়িঘর বিলিন হওয়ার খবর পেয়ে সাথে সাথেই ঐ এলাকা পরিদর্শনে যাই।

তিনি বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে আমার কথা হয়েছে, তাঁরা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে দেখে কার্যকর উদ্যেগ নেয়ার।

(একে/এসপি/নভেম্বর ০১, ২০১৭)