শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : দিনাজপুরে ধান ক্ষেতে ফসলের মাঠে লাইভ পার্চিং এর ব্যবহার বাড়ছে। এই লাইভ পার্চিং ব্যবহারের ফলে ক্ষেতে ক্ষতিকারক পোকা-বালাই দমনের পাশাপাশি মাটি’র নাইট্রোজেন ঘাটতি পূরণ হচ্ছে। এতে ফসলে কীটনাশক স্প্রে’র বাড়তি খরচের প্রভাব যেমন পড়ছে না, তেমনি অন্যদিকে বাড়ছে ফসলের উৎপাদন। এ কারণে এ অঞ্চলে লাইভ পার্চিং কৃষকের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

আগের বছর গুলোতে উপকার পাওয়ায় এবারও দিনাজপুরের বিরল উপজেলার পুরিয়া গ্রামের কৃষক মতিউর রহমান তার ফসলের ক্ষেতে ব্যাপক হারে লাইভ পার্চিং এর ব্যবহার বাড়িয়েছে । এতে তার যেমন কীট নাশকের অপচয় কমছে,তেমনি বাড়ছে ফসলের উৎপাদন।

শুধু কৃষক মতিউর রহমান নয়, দিনাজপুরের অসংখ্য কৃষক এখন ব্যবহার করছে লাইভ পার্চিং।
দিনাজপুরে এবার প্রায় এবার এবার জেলায় ২ লাখ ৬৬ হাজার ৯’শ ৭২ হেক্টর জমিতে আমান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর বিস্তৃর্ণ এলাকার ফসলের মাঠ জুড়ে এখন শুধুই চোখে পড়ছে এই লাইভ পার্চিং। আফ্রিকান জাতের এই ধনচে গাছ ফসলের ক্ষেতে রোপণ করেছে কৃষক।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা জানান,ফসলের মাঠে এই গাছ লাগানোর ফলে পাখি এসে বসছে তাতে। অভাণ্যে এই গাছে বসে পাখি ধরছে ক্ষেতের পোকা। তা আহারের মাধ্যমে ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকা দমনে সহায়তা করছে পাখি। এতে শুধু ক্ষতিকারক পোকা দমনেই চচ্ছে না, মাটি এ গাছের মাধ্যমে পূরণ করছে ঘাটতি নাইট্রোজেন। এই লাইভ পার্চিং এর ব্যবহারের ফলে ফসল কাটার পর কৃষক পাচ্ছে,বাড়তি জ্বালানী খড়ি। সেই সাথে বাড়ছে, ফসলের উৎপাদন।

লাইফ পার্চিং এর ব্যবহার বাড়াতে ও কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগসহ কাজ করছে বিএডিসি। পদ্ধতি অনুসরণ করে ইতোমধ্যে বেশ সুফলও পেয়েছেন তারা। দিন দিন কমে আসছে কীটনাশকের ব্যবহার। এতে সাশ্রয় হচ্ছে অর্থের, পাচ্ছেন ফসলের ভালো ফলনও। ফলে দিনদিন এ পদ্ধতি ব্যাবহারে আকৃষ্ট হচ্ছে কৃষক।

এ অঞ্চলে লাইভ পারচিং এর ব্যাপক সারা পড়েছে। এতে যেমন কিটনাশকের আপচয় কমছে। তেমনি বাড়ছে ফসলের উৎপাদন।

(এসএএস/এসপি/নভেম্বর ০১, ২০১৭)