টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় গত এক মাসে এক নবজাতক সহ পাঁচটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। অক্টোবর মাসে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এই খুনের ঘটনাগুলো ঘটে। এমতাবস্থায় এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের নাগরপাড়া গ্রামে গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে রনজু(৪২) নামে এক ব্যক্তিকে প্রতিবেশিরা বাড়িতে ডেকে নিয়ে বেধরক পিটিয়ে হত্যা করে। এক মাস পাড় হলেও ওই হত্যার সাথে জড়িত কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

গত ১২ অক্টোবর মির্জাপুর থানা পুলিশ নিখোঁজের তিনদিন পর ধেরুয়া গ্রামের যুবক শাকিল(২২)- এর মরদেহ পাশের রানাসাল গ্রামের ফসলি মাঠ থেকে উদ্ধার করে। ওই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত মেহেদি হাসান নামে এক যুবক আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

১৭ অক্টোবর উপজেলার টাকিয়া কদমা উত্তর পাড়া গ্রামের মানিক হোসেনের স্ত্রী রিনা বেগম পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে অবৈধ সন্তান প্রসবের পরই গলা টিপে হত্যা করে। পুলিশ ওই মামলায় রিনা বেগম এবং তার পরকীয়া প্রেমিক শিপন খানকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। ২৬ অক্টোবর ভাবখন্ড গ্রামের মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারী ফিরোজ মিয়া কুঠার (কুড়াল) দিয়ে কুপিয়ে তার বৃদ্ধ বাবা ফটিক মিয়াকে নির্মমভাবে খুন করে। পুলিশ ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ জানায়।

সর্বশেষ গত ২৯ অক্টোবর মির্জাপুর থানা পুলিশ নিখোঁজের ১১ দিন পর গোড়ান গ্রামের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার এসএম আব্দুল মালেকের(৮০) অর্ধগলিত লাশ পাকুল্যা পূর্বপাড়া ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়।

মির্জাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক জানান, গত মাসের তিনটি হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে দুটি মামলার আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য ঘটনাগুলোর সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।


(আরকেপি/এসপি/নভেম্বর ০২, ২০১৭)