নিউজ ডেস্ক : ই-জেনারেশন লিমিটেড, দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আইটি কনসাল্টিং, সাইবার সিকিউরিটি এবং সফটওয়্যার সলিউশন কোম্পানী, সেরা নিয়োগকর্তা ব্র্যান্ড ক্যাটাগরিতে সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০১৭ পুরষ্কার অর্জন করেছে। কর্ম পরিবেশ, কর্মজীবন উন্নয়নে নির্দেশনা, টিম সন্তুষ্টির শর্তাবলী পূরণের স্বীকৃতিতে এই পুরষ্কারটি দেয়া হয়। ওয়ার্ল্ড এইচআরডি কংগ্রেস এবং এশিয়ান কনফেডারেশন যৌথভাবে বিগত ২৯ অক্টোবর ঢাকার হোটেল লা মেরিডিয়ানে এই পুরস্কারটি প্রদান করে। বিজ্ঞপ্তি।

অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি-এর কাছ থেকে সম্মাননা পুরস্কার স্বরূপ অ্যাওয়ার্ড ও সনদপত্র গ্রহণ করেন ই-জেনারেশন গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান এস. এম. আশরাফুল ইসলাম। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. আরএল ভাটিয়া, কনস্টান্টিনোস এস গাভ্রিয়েল এবং কনস্ট্যান্টিনোস এস. গাভ্রিয়েল।

সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড সেই সব নেতৃত্বস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ও নেতৃবৃন্দকে সম্মানিত করে যে সব প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তি আঞ্চলিক কর্মকান্ডে শক্তিশালী ও অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হলো একটি ফোরাম তৈরি করার মাধ্যমে কাজের গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ব্যক্তি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সংগঠনকে সম্মানিত করার একটি মানদন্ড স্থাপন করে কর্মের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকৃতি প্রদান করা।

ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, গবেষক এবং শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল এই জুরি বোর্ড। দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ-ভারত, শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভুটান, নেপাল এবং মালদ্বীপ থেকে মনোনিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছেন।

ই-জেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান, শামীম আহসান বলেন, “এই পুরস্কারটি আমাদের প্রতিষ্ঠানের অসামান্য ব্যবসায়িক এবং কর্মসংস্কৃতি তৈরির প্রয়াসের স্বীকৃতিস্বরূপ। আমাদের কাছে আমাদের টিম মেম্বাররা সবসময় আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। আমাদের কাজের সংস্কৃতির কারণে আমরা আমাদের টিমের সদস্য সংখ্যায় বিশাল উন্নতি দেখতে পেয়েছি এবং সা¤প্রতিক সময়ে আমাদের সহকর্মীদের আমাদের প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাবার নজিরও খুবই কম। এই পুরস্কারটি আমাদের প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসাকে বিভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবার ক্ষেত্রে শক্তিশালী অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানকে অন্যতম সেরা কর্মস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই”।

ই-জেনারেশন গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান এস. এম. আশরাফুল ইসলাম বলেন, “আমরা একটি সাপোর্টিভ সংস্কৃতি গঠনের ক্ষেত্রে মনোযোগী হয়েছি যেন আমাদের টিমের সদস্যারা অনুপ্রেরিত হয় এবং নিত্যনতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে পৃথিবীতে সত্যিকারের ভূমিকা রাখতে পারেন। এই পুরস্কারের মাধ্যমে আমাদের কার্যকরী প্রতিভা অন্বেষণ, তাদের ধরে রাখা এবং গঠন করার প্রয়াস স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা ই-জেনারেশনকে একটি আদর্শ কর্মস্থল হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যাবো”।

ই-জেনারেশন লি. ব্যবসার বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় অনুধাবন করে যথোপযুক্ত ব্যক্তি, দক্ষতা এবং প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে পরিমিত ব্যয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। ই-জেনারেশন কৃষি মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ, এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিজনেস প্রসেস অটোমেশন, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, সফটওয়্যার, উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করছে। ই-জেনারেশন ডাটা এনালিটিকস্, সাইবার সিকিউরিটি এবং ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং-এ বেশ মনোনিবেশ করছে। ই-জেনারেশনের অন্যতম পার্টনারদের মধ্যে রয়েছে মাইক্রোসফট, ওরাকল, এসএপি, সিসকো এবং ইন্ডিগো।

ই-জেনারেশন প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথেও সহযোগীতায় রয়েছে যেন এটি বাজারে তার কাঙ্খিত শীর্ষস্থানটি অর্জন করতে পারে। এই পার্টনারদের মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাবিপ্রবি এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। তারা একই সাথে বেসিক ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, এবং মেঘনা ব্যাংকসহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠানকে সাইবার নিরাপত্তা, মাইক্রোসফট এবং ইআরপি সেবা প্রদান করে। ই-জেনারেশন এর রয়েছে ডেনমার্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, কানাডা, সৌদি আরব, রাশিয়া, উগান্ডা, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রাহক রয়েছে।

(বিএস/এসপি/নভেম্বর ০২, ২০১৭)