ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত ৩২ শিক্ষককে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। শনিবার (৪ নভেম্বর) ঢাবি শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

এ সময় অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষক স্মৃতিচারণ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, দেশের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অনন্য অবদান রেখেছেন। তাদের এ অবদান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তথা জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ রাখবে।

তিনি বলেন, শিক্ষকদের অবশ্যই উন্নত নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন হতে হবে। অশিক্ষক সুলভ আচরণ পরিহার করতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের পাশাপাশি নিজেদের চারিত্রিক গুণাবলীর বিকাশ ঘটাতে হবে। এক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারেন। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন- অধ্যাপক ড. আবদুল আজিজ, ড. এম শাহাদাত মোর্শেদ (উদ্ভিদ বিজ্ঞান), ড. বদরুল ইমাম (ভূতত্ত্ব), ড. মো. আবদুর রব মোল্লা (প্রাণিবিদ্যা), ড. নাজমা আরা হোসেন (ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট), ড. মো: হারুনুর রশিদ (মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ), ড. মো. আইনুল ইসলাম, ড. মো. আবদুল মতিন (গণিত), ড. মো. মোবারক হোসেন (ফলিত গণিত), ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ড. মোহাম্মদ আলী তসলিম (অর্থনীতি), হোসনে আরা বেগম, মুহাম্মদ নাজমুল হক (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট), ড. মো. হাবিবুল বাহার, ড. নীলুফার নাহার (রসায়ন), ড. অজয় কুমার দাস (ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল), ড. মো. আনোয়ার হোসেন,ড. মামুন রশীদ চৌধুরী (প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান), ড. রেবেকা বানু (ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি), ড. আতিউর রহমান (ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ), ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান (সমাজবিজ্ঞান), মো. সেলিম ভূঁইয়া (ম্যানেজমেন্ট), সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ, আবু সায়ীদ তালুকদার (মার্কেটিং), ড. সৈয়দ রাশিদুল হাসান (ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট), ড. মো. মোজাম্মেল হক (অণুজীব বিজ্ঞান), ড. ফকরুল আলম (ইংরেজি), ড. কাজী শহীদুল্লাহ, শরিফ উল্লাহ ভূঁইয়া (ইতিহাস), ড. সুকোমল বড়ুয়া (পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ), ড. খুরশীদ জাহান ও ডা. লুৎফর আহমেদ (পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট)।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০৫, ২০১৭)