নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের গুরুেদাসপুরে সরকারী জলাশয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে সোঁতিজাল পেতে মাছ শিকারকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষ আবুল কালাম ও হানিফ-মাজেম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্ততঃ তিন জন। আটক হয়েছে আবু তালেব (৫৫) নামের একজন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের ঝাঁকড়া-সোনাবাজু এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৬০ বিঘার একটি জলাশয়ে সোঁতিজাল পেতে মাছ শিকারকে কেন্দ্র করে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষ চলাকালে নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার, গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গণপতি রায়সহ থানা পুলিশ ঘটনা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।

পুলিশ অধ্যক্ষ কালামের বাড়ী তল্লাশি করে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৬ মাসের অন্তঃসত্বা শাকিলা বেগম (২৫) আশংকাজনক অবস্থায় গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয়রা আরো জানান, ওই জলাশয় দিয়ে উপজেলার বৃহৎ চাকল বিলের পানি নিস্কাশন হয়ে থাকে। পানি উন্নয়োন বোর্ডের পক্ষ থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে প্রতি বছর স্থানীয়দের কাছে লিজ দেওয়া হতো। কিন্তু এবছর জলাশয়টি সরকারীভাবে লিজ দেওয়া হয়নি। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্থানীয় অধ্যক্ষ আবুল কালাম গ্রুপের লোক-জন জলাশয়টিতে বাঁশের বেড়া দিয়ে সোঁতিজাল দিয়ে মাছ শিকার করতে গেলে হানিফ-মাজেম গ্রুপের লোজজন বাঁধা দিলে ওই সংঘর্ষ বাঁধে। আহত অন্যরা হলেন সামাই (৩০), রাব্বানী (১৫)।

গুরুতর আহত শাকিলা বেগম জানান, তাকে মাজেম হাসুয়া দিয়ে কোপ দেয়। তার পেটে হানিফের লাঠিতে আঘাত প্রাপ্ত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনির হোসেন জানান, অসাধু রোকজন সরকারী জলাশয় দখল নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দিলীপ কুমার জানান, সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। অধ্যক্ষ কালামের বাড়ী থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীনে রয়েছে।

(এডিকে/এসপি/নভেম্বর ০৬, ২০১৭)