আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র লেবাননের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি পদত্যাগ করার পর সৃষ্ট চলমান রাজনৈতিক সংকটে লেবাননের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছিল ইরান। এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। খবর রয়টার্স।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের এমন ঘোষণা সৌদি আরবের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার মতো। কারণ সম্প্রতি সৌদি আরব দাবি করেছে, লেবানন তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গ্রুপের আগ্রাসনের কারণেই লেবানন এমনটা করছে বলে উল্লেখ করেছে রিয়াদ।

লেবাননে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাস এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের প্রতি ভিন্ন সুর শোনা গেছে। লেবাননে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়ে সমর্থন জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে।

শনিবার লেবাননের প্রধানমন্ত্রী এবং সৌদির মিত্র সাদ হারিরি রিয়াদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার পর থেকেই লেবাননের রাজনীতিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়। পদত্যাগের আগে ইরান এবং এর মিত্র হিজবুল্লাহকে দায়ী করেন সাদ হারিরি।

তিনি তার আকস্মিক পদত্যাগের পেছনে লেবাননের নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ বেশ কিছু বিষয়কে দায়ী করেছেন। তার জীবননাশের চক্রান্ত চলছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। পদত্যাগের পেছনে ইরান এবং এর মিত্র হিজবুল্লাহকে দায়ী করেছেন হারিরি। আর হিজবুল্লাহকে ইরান সমর্থন জানাচ্ছে বলে দাবি করছে সৌদি আরব।

এদিকে, রিয়াদে বসে হারিরির পদত্যাগের বিষয়টি ধোঁয়াশা তৈরি করেছে। হারিরিকে সৌদি বন্দী করে রেখেছে এমন দাবি উঠেছে। তবে হারিরিকে গৃহবন্দী করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সৌদি। তাদের দাবি লেবাবনন সরকারের পতন ঘটাতে চায় হিজবুল্লাহ। এ কারণেই পদত্যাগ করেছেন হারিরি।

লেবাননে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের তরফ থেকে বুধবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, স্থিতিশীল, নিরাপদ, গণতান্ত্রিক এবং সমৃদ্ধ লেবানন গড়ে তুলতে দেশটির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

এক বিবৃতিতে লেবাবননে ইউরোপীয় দূতাবাসের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে লেবানন এবং এর জনগণের ঐক্য, স্থায়িত্ব, সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের পূর্ণ সমর্থন জানানো হয়েছে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ০৯, ২০১৭)